• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

সাদুল্লাপুরে রং মিশিয়ে হাইব্রিড জাতের মাছ বিক্রি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

‘অরজিনাল দেশি, দামটা একটু বেশি’। এমন চটকদার কথায় ক্রেতা সাধারণকে বোকা বানিয়ে হাইব্রিড জাতের মাগুর-শিং মাছে রং মিশিয়ে দেশি বলে বিক্রি করা হচ্ছে।

শনিবার (১৪ মে) দুপুরে এমন একটি দৃশ্য দেখা গেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট বাজারে। এখানে মাছ বিক্রেতা অনিল চন্দ্র একটি পাতিলে তরল লাল রং পানিতে মিশিয়ে অন্য একটি পাতিল থেকে হাইব্রিড জাতের শিং ও মাগুর মাছ ওই পানিতে মিশ্রিত করে দেশি মাছে রূপান্তর করার কাজে লিপ্ত রয়েছে।

এ সময়  ওই রং মিশ্রিত শিং ও মাগুর মাছ দোকানে পসরা সাজিয়ে দেশি মাছ হিসেবে চড়াদামে বিক্রি করছিলেন তিনি। আর দেশি মাছ ভেবে ক্রেতারাও আকৃষ্ট হয়ে হুমড়ি খেয়ে কিনছেন।
জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাগুর-শিং মাছসহ নানা প্রজাতীর হাউব্রিড জাতের মাছ পুকুরে চাষ করা হচ্ছে। এসব মাছ স্থানীয় আড়তে বিক্রি করে মাছ চাষিরা। আর এই আড়ৎ থেকে আশপাশের ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ীরা ওইসব মাছ কিনে রং মিশ্রিত করে দেশি জাতের বলে বিক্রি করা হচ্ছে। অনেকে এই মাছ খেয়ে দেহের নানা সমস্যায় ভুগছে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভেজাল মিশ্রিত ও খোলা বাজারে খাদ্যদ্রব্য বিক্রি রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শাস্তির বিধান থাকলেও, এ এলাকার হাট-বাজারগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে কোন অভিযান হয় না। সে কারণে বিভিন্ন দোকানে বিশেষ কায়দায় খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মিশানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। শুধু ধাপেরহাট নয়, উপজেলার বকশিগঞ্জ, মিরপুর, নলডাঙ্গা, ভাতগ্রামসহ ছোট-বড় বিভিন্ন গ্রামীণ হাট-বাজারে এসব রংমিশ্রিত শিং ও মাগুর মাছসহ বিভিন্ন ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে।

ধাপেরহাট বাজারের মাছ কিনতে আসা খলিলুর রহমান রুকু জানান, খুব সখের বশে দেশি মাছ মনে করে ১ কেজি মাগুর মাছ কিনেছিলাম। মাছগুলো দেখে মনে হচ্ছিল অনেক আগের পুরাতন কাল শিরিপড়া দেশীয় মাগুর মাছ। কিন্তু বিধিবাম! রান্না করে খাওয়ার সময় দেখি মাছ গুলো অত্যান্ত শক্ত স্বাদ বলতে কিছু নাই। আজ বুঝতে পারলাম আমিও রং করা মাছ কিনেছি।

মাছের গায়ে রং মিশানোর বিষয়ে বিক্রেতা অনিল চন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, মহাজনের নির্দেশে একাজ অনেকদিন থেকেই করি। তাছাড়া রং না করলে পাবলিক মাছ কিনতে চায় না। বেশি বিক্রির আশায় আমরা বাধ্য হয়ে একাজ করে থাকি।

ধাপেরহাট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি নূর মোহাম্মদ মিলন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক মন্ডলকে মাছে রং মেশানের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তারা তৎক্ষণিক মাছের বাজারে গিয়ে এরকম রংমিশ্রিত মাছ জব্দ করেন এবং বণিক সমিতির নিয়ম মোতাবেক ওই মাছ বিক্রেতার বিচার করা হবে বলে জানান।

তারা আরও বলেন, আমরা এখন নিয়মিত বাজারে তদারকি করব। যাতে করে কেউ এ ধরনের কাজ আর না করতে পারে।

ধাপেরহাট হাট-বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল কবির মিন্টু জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং ভেজাল মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য বিক্রি বন্ধে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। যাতে রং মিশ্রিত মাছ বা অন্যকোন খাদ্যদ্রব্যে কেউ যেন ভেজাল মিশাতে না পারে।

সাদুল্লাপুর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সিরাজাম মনিরা সুমি বলেন, রং মিশিয়ে মাছ বিক্রির বিষয়টি জানা নেই। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here