• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

শ্যালিকার সঙ্গে ছোট ভাইয়ের প্রেম: রাস্তা কেটে নিলেন বড় ভাই

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ মে ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

গাইবান্ধায় শ্যালিকার সঙ্গে ছোট ভাইয়ের প্রেম থাকায় বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা কেটে নিয়েছেন বড় ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গা ডিপ বাজার এলাকায়।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতিকার চেয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন হামিম নামে আরেক ভাই। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন।

স্থানীয়রা জানায়, হাজিপাড়া-ডিপবাজার রাস্তার পূর্ব-দক্ষিণ পাশে সাহাবুদ্দিন প্রামাণিকের বাড়ি। তিনি ছিলেন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার। প্রায় ৪০ বছর আগে ওই বাড়ি করেন তিনি। বাড়িতে যাওয়ার জন্য তারই স্ত্রীর আত্মীয় আশরাফুল আলমের জমি দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়।

পরবর্তীতে সাহাবুদ্দিনের ছেলে হাসিব প্রামাণিকের সঙ্গে আশরাফুল আলমের মেয়ে আফরোজা বেগমের বিয়ে হয়। এতে দুই পরিবারের সম্পর্ক আরো গভীর হয়। কিন্তু বর্তমানে রাস্তাটি কেটে নেয়ায় এখন আর চলাচলের কোনো পথ নেই। পরিণত হয়েছে জমির আইলে। আইলের দুপাশে ধান লাগানো হয়েছে।

সাহাবুদ্দিনের পাঁচ ছেলের মধ্যে একজন হাসিব। তিনি পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার হিসেবে কাজ করেন। তিন বছর আগে হাসিবের ছোট শ্যালিকার সঙ্গে (স্ত্রী মারা গেছে) নিজের ছোট ভাই হাসান হাবিবের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফায় নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদও হয়। এর জেরেই গত বছর শ্বশুরের জমি দিয়ে তৈরি হওয়া ছোট ভাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা দুপাশ থেকেই কেটে নেন হাসিব। ওই বাড়িতে হাসিবের মাও থাকেন।

সাহাবুদ্দিনের আরেক ছেলে শাহিন প্রামাণিকের স্ত্রী আখি বেগম বলেন, রাস্তাটি প্রায় পাঁচ ফুট চওড়া ছিল। একটি অটো কিংবা ভ্যান অনায়াসে আসা-যাওয়া করতে পারতো। গত বছর রাস্তাটি কেটে নেয়ায় আমাদের চলাফেরা করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় বাচ্চাদের অসুবিধা হয়। বর্তমানে আইল সদৃশ রাস্তা দিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে শাশুড়ি মোরশেদা বেগমের একটা হাত ভেঙে গেছে।

রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন বলেন, ফেসবুকে বিষয়টি দেখে সরেজমিনে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফেসবুকে যে ছবিটি দিয়েছে, সেটি এক বছর আগের। আমি এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেব।

রাস্তা কেটে নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে আহসান হাবিব প্রামাণিক বলেন, অনেকদিন আগে আমার শ্বশুর মানবিক কারণে নিজের জমি দিয়ে ওই রাস্তা দিয়েছিলেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এখন রাস্তা কেটে নিয়েছি। এতে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

Place your advertisement here
Place your advertisement here