পঞ্চগড়ে ২০ টাকায় মিলছে ১ মণ শসা
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২ মে ২০২২
Find us in facebook
পঞ্চগড়ের উপজেলা সদরের পাথর ঠাকুর এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম। তিনি বিশ কাঠার এক বিঘা জমিতে ৩০ হাজার টাকা খরচে শসা চাষ করেছেন। ভেবেছিলেন রমজান মাসে ফসল উঠলে ভালো দাম পাবেন। কিন্তু হঠাৎ করে বাজারে শসার মূল্য অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় তিনি মাত্র পঞ্চাশ টাকার শসা বিক্রি করতে পেরেছেন। এরপর আর শসা ক্ষেত থেকে তোলেননি। কৃষক রফিকুলের মতো একই অবস্থা চলতি মৌসুমে জেলার বিভিন্ন এলাকার শসা চাষিদের।
পঞ্চগড়ের বিভিন্ন শসার ক্ষেত থেকে ৫০ পয়সা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শসা। অর্থাৎ ২০ টাকায় মিলছে এক মণ শসা। এদিকে ঢাকায় ১ কেজি শসার দাম ২০ টাকা। বিভিন্ন ক্ষেতে শসার বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য মূল্য না পেয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
গত এক মাসের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে শসার দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকা মাত্র ৫০ পয়সায় নেমে এসেছে। কয়েক হাত ঘুরে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে। চলতি মৌসুমে শসা চাষে ব্যাপক লোকসান গুনেছেন কৃষকরা। অনেকে পুঁজি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ২১০ হেক্টর জমিতে শসার চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। রমজানের আগেও চাষিরা শসা বিক্রি করেছেন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। রমজানের কয়েকদিনের মধ্যে শসার দাম কমতে থাকে।
বর্তমানে ক্ষেতে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ পয়সা কেজি দরে। কৃষকের কাছ থেকে ৫০ পয়সায় শসা কিনে ব্যবসায়ীরা পাঠাচ্ছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, সিলেট, খুলনা, যশোর, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। স্থানীয় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকায়।
রোববার জেলার বিভিন্ন এলাকার শসার ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ক্ষেতে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব কৃষক রমজান মাসকে লক্ষ্য রেখে ভালো দাম পাওয়ার আশায় সময় অনুযায়ী শসার চাষ করেছেন। কিন্তু রমজানের আগেও যেখানে কৃষকরা শসা বিক্রি করেছেন কেজি প্রতি ৪০ টাকা। এখন তা নেমে আসে ৫০ পয়সা কেজি দরে।
ধারদেনা করে শসা চাষ করে এখন বড় অংকের লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। এসব চাষিদের প্রতি বিঘা জমিতে শসা চাষ করে উৎপাদন খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার কেজি। ৫০ পয়সা কেজি দরে বিক্রি করে দাম পাচ্ছেন মাত্র পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। এতে বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। ক্ষেত থেকে শসা তুলতে মজুরি পর্যন্ত হচ্ছে না। এজন্য অনেক চাষির ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে শসা।
পাথর ঠাকুর এলাকার শসা চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে শসার আবাদ করে মাত্র ১৫ টাকার শসা বিক্রি করতে পেরেছি। এখন আর শসা ক্ষেতে যাই না। মূলত এবার শসার বাম্পার ফলন হওয়ায় শসার চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ অনেক বেশি। এজন্য শসার দাম একেবারে কমে গেছে।
একই উপজেলার বামনপাড়া এলাকার কৃষক তজমল হক বলেন, ‘কৃষকের এই দুরাবস্থা দেখার কেউ নেই। একদিনের শসা বিক্রি করে একটা কামলার দাম ওঠে না। কৃষকরা মাঠে মারা গেলেও বিষয়টি কেউ দেখছে না। এভাবে চলতে থাকলে আমরা সবজি চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলব।’
তেঁতুলিয়া উপজেলার খয়খট পাড়া এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি তিন বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছি। আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫ হাজার টাকার শসা বিক্রি করতে পেরেছি। বাকি শসা ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে।
পঞ্চগড় কাঁচা বাজারের আড়তদার আসলাম উদ্দিন বলেন, বাজারে শসার আমদানি অনেক বেশি। এজন্য দাম কমে গেছে। আগে বিঘা প্রতি জমি থেকে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বস্তা শসা সংগ্রহ করা হত। ফলন ভালো হওয়ায় এখন বিঘা প্রতি একই সময়ে শসা সংগ্রহ করা হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ বস্তা। আমরা শসা দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাতে পারতাম। এখন জেলার বাইরেও শসার চাহিদা নেই। রমজান মাসে শসার এমন বাজার আগে দেখিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শাহ মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সাধারণত রমজানে শসা ভালো দামে বিক্রি হয়। এজন্য চাষিরা সময় মেপে শসার আবাদ করেন।
এবারও তাই হয়েছে এবং প্রতিটি ক্ষেতেই শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে শুরুতে দাম ভলো পেলেও এখন বাজার একেবারে নেমে গেছে। ক্ষেত থেকে ৫০ পয়সা কেজি দরে শসা বিক্রি করছেন কৃষকরা। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শসার চাহিদা কিছুটা কমে যায়। তবে গরম আবহাওয়া বৃদ্ধি পেলে দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
- পঞ্চগড়ে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
- গুচ্ছের হাবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ১২৩৪১ জন
- রংপুরে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবসে র্যালী ও আলোচনা সভা
- রংপুরে মহানগর ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
- ঢাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসা করতে এসে পীরগঞ্জে আটক
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী কারাগারে
- পাটগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
- তেঁতুলিয়া তীব্র তাপপ্রবাহে নলকূপে মিলছে না পানি
- সাদুল্লাপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা
- ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন
- কুড়িগ্রামে তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত
- কুড়িগ্রামে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- বোদায় ট্রাক-ট্রাক্টর সংঘর্ষে নিহত ২
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- গাজার সেই শহরে আবারও নারকীয় হামলার ঘোষণা ইসরায়েলের
- পাটপণ্যের উন্নয়নে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: পাটমন্ত্রী
- জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী: স্পিকার
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- বুয়েটে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম তদন্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- জলবিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- শরীরে মেদ জমেছে নাকি পানি, বুঝবেন যেসব লক্ষণে
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা