অসহায় সুমনের পাশে দাঁড়ালেন নিউইয়র্ক প্রবাসি মিষ্টি বর্মন

‘জিপিএ-৫ পেলেও আনন্দ করার কেউ নেই সুমনের’ এরকম একটি খবর নিউইয়র্ক প্রবাসী মিষ্টি বর্মনের দৃষ্টি গোচর হয়। তিনি সুমনের নিজ এলাকার নিভৃতচারী সমাজকর্মী প্রভাষক অবিনাশ রায়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সুমনের পড়াশুনার দায়িত্ব নেন। মিষ্টি বর্মন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মেয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।

অবিনাশ রায় বলেন,আমি নিউজটি দেখে শেয়ার করি তার দুইদিন পর আমার সাথে যোগাযোগ করেন মিস্টি বর্মন। সব খোজ খবর নেন এবং তিনি তার পড়াশুনার সব দায়িত্ব নেন।

মিষ্ঠি বর্মণ মুঠোফোনে জানান সুমনের বিষটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। বাবা মা নেই টাকার অভাবে সে পড়তে পারবেনা বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। যোগাযোগ করে আমি তার খোজ নেই এবং তার জন্য ব্যাংকে একটি একাউন্ট করা হয়েছে যেখানে প্রতিমাসে তার পড়াশুনার খরচ পাঠাবো আমি।

উল্লে্খ্য, সুমন নীলফামারীর জলঢাকা দক্ষিন নেকবক্ত লাল চাঁদপাড়া এলাকার মৃত সুখধন বর্মনের ছেলে। ২০২১ সালের এস এস সি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করে সে। সুমনের বয়স যখন ৭ বছর তখন দুই সন্তান রেখে মারা যান তার বাবা। এর এক মাস পর সুমন ও তার ভাইকে রেখে চলে যায় ওর মা।

এর পর স্থানীয় ও স্কুলের সহযোগীতায় পড়াশুনা চালিয়ে পঞ্চম শ্রেনীতে জিপিএ-৫ পায় এর পর অষ্টম শ্রেনীতে নেকবক্ত দ্বী-মুখী উচ্চ   বিদ্যালয় থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে পাস করে সে এবং সদ্য এস এস সি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও ভাল রেজাল্ট নিয়েও পড়াশুনা এবং ভর্তি নিয়ে অনিশ্চিত হয়ে পরে সুমন।