• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

২০০৮ থেকে ২০২১ সাল: উন্নয়নে বদলে গেছে মঙ্গাপীড়িত রংপুর

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ জানুয়ারি ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

‘রংপুরের উন্নয়নের জন্য আমার কাছে কোনো দাবি বা সুপারিশ করার প্রয়োজন হবে না। রংপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব আমি নিজের কাঁধে নিলাম।’ ১৩ বছর আগে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে এক জনসভায় উন্নয়নের এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৮ থেকে ২০২১ সাল— এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন আর উন্নয়নের মোড়কে বদলে গেছে একসময়ের ‘মঙ্গাপীড়িত’ রংপুর।

এখন তিস্তা-ঘাঘট, যমুনেশ্বরী-করতোয়া নদী বিধৌত রংপুরে মঙ্গা নেই। ‘এটা চাই, ওটা চাই’ নিয়ে তেমন জোরালো আন্দোলনও নেই। মঙ্গার বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রাচীনতম এই জেলার মানুষ। গেল এক যুগের অভূতপূর্ব উন্নয়নে রংপুরের মানুষ এখন দাবি-দাওয়ার আওয়াজ তুলে রাজপথে দাঁড়ানোর আন্দোলন ভুলে গেছে।

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগীয় এই জেলার সড়ক, রেল ও নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অবকাঠামো উন্নয়ন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ঈর্ষণীয়। কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিসহ সর্বক্ষেত্রেই হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন। আর সবকিছুই এসেছে ২০০৮ সালে রংপুরের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে। এছাড়াও শেখ হাসিনার আমলে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিষ্ঠা, রংপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, পীরগঞ্জে মেরিন একাডেমি স্থাপন, আদালতের বহুতল ভবন, সিভিল সার্জনের নতুন ভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, আধুনিক পুলিশ লাইন্স নির্মাণ হয়েছে।

উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে ১৭ তলাবিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ, বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, বিভাগীয় সদর দফতর, র‌্যাব-১৩ ব্যাটালিয়ন সদর দফতর, রংপুর শিশু হাসপাতাল ও পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি অবকাঠামো। বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য রংপুর এখন উত্তরাঞ্চলের রাজধানী। 

এদিকে আইটি বা হাই-টেক পার্ক স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়াও পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, তিস্তা সেচ প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজগুলো বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও বদলে যাবে। অনেক শিল্প উদ্যোক্তা প্লট কিনে অপেক্ষা করছেন গ্যাস সংযোগের। গ্যাস সংযোগ হলে এই অঞ্চলে শিল্পবিপ্লব হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী মহল।

বর্তমান সরকারের আমলেই রংপুরবাসী গ্যাস সংযোগ সুবিধা পাবেন, এমনটাই বিশ্বাস করেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে রংপুরকে সব দিক থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল। বহুদিনের দাবি ছিল রংপুরে শিক্ষা বোর্ড স্থাপন করার জন্য। কিন্তু বিএনপি সরকার দিনাজপুরে শিক্ষা বোর্ড স্থাপন করে। সেই একটি শিক্ষা বোর্ড ছাড়া রংপুরের মানুষ ১২ বছরের চাওয়ার চেয়ে বেশি পেয়েছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজেই রংপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। আমাদের বিশ্বাস সরকারের এ মেয়াদেই রংপুরে গ্যাস আসবে।

এই জেলায় এখন চৈত্র-বৈশাখ ও আশ্বিন-কার্তিক মাসে কৃষিজমি ফসলশূন্য হয়ে পড়ে থাকে না। বীজ, সার ও কীটনাশকসহ সকল কৃষি উপকরণের সহজ লভ্যতার সঙ্গে সহজশর্তে ও স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ প্রদান সুদিন এনেছে কৃষিনির্ভর এ জেলায়। এখন বছর ধরে আগাম জাতের ধান উৎপাদন, বহুমুখী ফসল উৎপাদন, অনাবাদি জমিতে বিকল্প ফসল উৎপাদন, চরাঞ্চলের পতিত জমিতে ভুট্টা, তুলা, মিষ্টি কুমড়া ও শাকসবজির চাষবাদ হচ্ছে। বর্তমানে উপার্জনের অভাব বা কাজ না থাকার অভিযোগও নেই একসময়ে নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে চরম কষ্টে থাকা শ্রমজীবী মানুষের।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রংপুরের কাউনিয়াতে তিস্তা নদীর উপরে নির্মিত তিস্তা সড়ক সেতু, গঙ্গাচড়ার মহিপুরে শেখ হাসিনা সেতুসহ বিভিন্ন নদ-নদীর উপরে নির্মিত সেতু, কালভার্ট ও ব্রিজ এ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। এখন যোগাযোগ সহজ হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়-বিপণন সুবিধা বেড়েছে।

এছাড়া মিঠাপুকুরের ইকোপার্ক সংস্কার, পীরগাছায় কৃত্রিম মহিষ প্রজনন কেন্দ্রসহ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়কের ছয় লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলছে। এই প্রকেল্পর রংপুর অংশের কাজ প্রায় শেষের পথে। ছয় লেন সড়কের কাজ শেষ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। উত্তরবঙ্গে শিল্প কারখানার প্রসারসহ ভারত-নেপালের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়ন ঘটবে। এছাড়া গঙ্গাচড়ায় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

রংপুর বিভাগীয় সদর দফতর কমপ্লেক্স
আওয়ামী লীগ সরকার ২০১০ সালে রংপুরকে বিভাগ ঘোষণা করে। দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হয় বিভাগীয় কার্যক্রম। বর্তমানে ব্যস্ততম নগরী থেকে একটু দূরে পুরাতন রেডিও সেন্টার-সংলগ্ন উত্তম এলাকায় ১৫ একর জমিতে ১০ তলা বিভাগীয় সদর দফতর কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর শুরু হওয়া এই কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ এ বছরের জুলাই মাসে শেষ হয়। এই কমপ্লেক্স নির্মাণে বরাদ্দ ছিল ৯২ কোটি টাকা। খুব দ্রুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

র‌্যাব-১৩ ব্যাটালিয়ন সদর দফতর
রংপুর বিভাগে ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৩) প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর রংপুর নগরের শাপলা চত্বর ক্যাম্প ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভিতরে অস্থায়ী সদর দফতর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এই ব্যাটালিয়ন। বর্তমানে রংপুর নগরীর উত্তম বেতারপাড়া এলাকায় র‌্যাব-১৩ ব্যাটালিয়ন সদর দফতরের স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণকাজ চলছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৩ টাকা। এটির নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

পীরগঞ্জে মেরিন একাডেমি
উত্তরাঞ্চলে প্রথমবারের মতো সমুদ্রবিষয়ক জ্ঞানচর্চার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে দক্ষ নাবিক ও নৌ-প্রকৌশলী তৈরি শিক্ষার দরজা খুলেছে রংপুর মেরিন একাডেমি। এখানে বাণিজ্যিক জাহাজের ক্যাডেট, ডেক অফিসার এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পীরগঞ্জ উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ফলির বিল এলাকায় ১০ একর জমির ওপর এই মেরিন একাডেমিটি গড়ে তোলা হয়েছে। এই মেরিন একাডেমিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির অধিভুক্ত। ২০১২ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়, চলতি বছরের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেরিন একাডেমির উদ্বোধন করেন।

পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন
২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর রংপুর পৌরসভাকে আনুষ্ঠানিকভাবে রংপুর সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হয়। বর্তমান সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় ২০৫.৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ মহানগরকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে সাজানোর কাজ করে চলছেন বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এটি দেশের দশম সিটি করপোরেশন। ইতোমধ্যে নগরীতে চার লেন সড়ক নির্মাণ, নতুন নগর ভবন নির্মাণ, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা ছাড়াও নগরীর প্রত্যেক এলাকায় চলছে রাস্তা এবং ড্রেন নির্মাণকাজ।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিষ্ঠা
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)। বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিভাগটি রংপুর মহানগরীতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব পালন করছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ৬টি থানা নিয়ে গঠিত। ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর মহানগর পুলিশের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘোষণা করেন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা
২০০৮ সালে ১২ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রংপুর টিচার্চ ট্রেনিং কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু হয়েছিল রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। প্রাথমিকভাবে কলেজের বুকে শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়’।

২০০৯ সালের ৫ এপ্রিল, ১২ জন শিক্ষক ও ৩০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে রংপুর মহানগরীর পার্কের মোড় এলাকায় স্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। নবনির্মিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গেল ১ যুগে দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে।

তিস্তার বুকে দুটি সেতু
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার উন্নয়ন এবং লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরসহ পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে তিস্তা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয় গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু। ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির উদ্বোধন করেন। জেলার কাউনিয়াতে একই নদীর ওপর রেল সেতুর পাশে তিস্তা সড়ক সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতুর উদ্বোধন করেন। গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা তিস্তা সেতু এবং তিস্তা সড়ক সেতু দুটি লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলাকে রংপুরসহ দেশের অন্য জেলার সঙ্গে যুক্ত করেছে, যা রংপুরের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণ
চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসা শিক্ষার জন্য রংপুর বিভাগের আট জেলার মানুষের প্রধান ভরসার স্থল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিকে বর্তমান সরকার ১ হাজার শয্যায় উন্নীত করেছে। তৈরি করা হয়েছে আধুনিক আইসিইউ ও সিসিইউ ইউনিট। বেড়েছে চিকিৎসা সুবিধা ও সেবার মান। এই অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই হাসপাতালের ক্যাম্পাসের ভেতরে নির্মাণ করা হচ্ছে ১৭ তলাবিশিষ্ট ক্যানসার হাসপাতাল। ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের দুইতলা থাকবে আন্ডার গ্রাউন্ডে। এছাড়াও রংপুর নগরে সদর হাসপাতাল-সংলগ্নে ১০০ শয্যার শিশু হাসপাতালটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। বর্তমানে নতুন এই শিশু হাসপাতালটি করোনা ডেডিকেশন আইসোলেশন হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

নতুন আঙ্গিকে শিল্পকলা একাডেমি
ভাওয়াইয়ার সুরখ্যাত রংপুর সংস্কৃতিচর্চার উর্বর ভূমি। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চা ও বিকাশে রংপুর টাউন হল চত্বরে নতুন আদলে বহুতলবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন জেলা শিল্পকলা একাডেমি নির্মাণ করা হয়েছে। একাডেমির এক পাশে তৃতীয়তলা আরেক পাশে পঞ্চমতলা ভবন। নতুন এই একাডেমিতে থাকছে অত্যাধুনিক ফিক্স অডিটরিয়াম, মাল্টিপারপাস অডিটরিয়াম এবং এরিনা মঞ্চ। নতুন বছরের শুরুতেই এটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

রংপুর-ঢাকা ছয় লেন মহাসড়ক
২০১৯ সালের জুনেই শুরু হওয়ার কথা ছিল বহুল প্রত্যাশিত রংপুর-ঢাকা ছয় লেন মহাসড়কের নির্মাণকাজ। কিন্তু ৬ মাস পর শুরু হলেও এখন রংপুর জেলার অংশে নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ২২ মাসে ৫১ কিলোমিটার এই মহাসড়কের ৪৮ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বহুল প্রত্যাশিত রংপুর-ঢাকা ছয় লেনের মহাসড়কে নতুন চমক বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়া তোরণ। দৃষ্টিনন্দন এ তোরণটি পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুরে নির্মাণ করা হবে। ঢাকা থেকে রংপুর জেলায় প্রবেশ করতেই নজর কাড়বে সাদা মনের মানুষখ্যাত এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার প্রতিকৃতি।

সচেতন মহলের দাবি, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বদলে গেছে একসময়ের ‘মঙ্গাপীড়িত’ রংপুর অঞ্চলও। দিনবদলের এই সময়ে উন্নয়নের মোড়কে সমৃদ্ধ হচ্ছে ভাওয়াইয়াখ্যাত উত্তরের জনপদ। রংপুরকে বিভাগ ঘোষণা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়, সিটি করপোরেশন, মেট্রোপলিটনসহ আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে অনেক অবকাঠামো এখন দৃশ্যমান। উন্নয়নের এ মহাসড়কে আরেকটি অর্জন হতে যাচ্ছে ব্যয়বহুল প্রকল্প ‘রংপুর-ঢাকা ছয় লেন মহাসড়ক’।

Place your advertisement here
Place your advertisement here