• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ বর্ষণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

গত দুই দিনের বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ের ব্যাপক সংখ্যক জমির আমন ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় আমন চাষিদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আগাম শীতকালীন সবজি ও আলু চাষিরা। তবে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হলে ফসলের মাঠে পানি বেশি দিন জমে থাকতে পারবে না। তাই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কম।

গত সোমবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি না হলেও জেলার শতাধিক হেক্টর জমির আমন ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। ১০-১৫ দিনের মধ্যে এসব ধান কেটে ঘরে তুলতেন কৃষকেরা। এখন বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। অন্যদিকে আগাম সবজি ও আলু চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। বর্তমানে আলুর দাম নেই, আগাম আলুর চাষ করে লাভ করার আশায় এখন লোকসানের মুখে কৃষকরা।

বুধবার সদর উপজেলার শিবগঞ্জ, জগন্নাথপুর, নারগুন ও বালয়াডাঙ্গী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আধা-পাকা ধানের গাছ ও সবজি ক্ষেত পানিতে ডুবে আছে। মাটিতে নুয়ে পড়া ধানগাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গো খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করার জন্য কেটে নিয়ে আসছেন কৃষকরা। অনেকে আবার সবজি ও আলু ক্ষেতের পানি ড্রেন করে বের করতে ব্যাস্ত রয়েছেন।

সদর উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকার কৃষক মোখলেসুর রহমান বলেন, আর মাত্র ১০-১৫ দিন পরই ক্ষেতের ধান পাকতে শুরু করবে। কিন্তু হঠাৎ এই বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ৭০-৮০ শতাংশ জমির আমন ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। এই ধান এখন কী হবে, কীভাবে এই লোকসান পূরণ হবে ভেবে পাচ্ছি না।

একই এলাকার আরেক কৃষক দুলাল হোসেন বলেন, ‘তিন বিঘা জমিতে আগাম ব্রি সুমন স্বর্ণা জাতের ধান লাগিয়েছি। মাঠে ধান পেকে গেছে। দু-এক দিন পর ঘরে তুলব। অসময়ের বৃষ্টিতে পাকা ধান নুয়ে পড়েছে। এতে ধান তুলতে পারলেও গুণগত মান নষ্ট হয়ে যাবে।’ এ অবস্থায় বিঘাপ্রতি লোকসান হবে ৮-১০ হাজার টাকা।

জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের হরিনমারি জুগিহার গ্রামের আব্দুল জব্বার জানান, ইতোমধ্যে এ উপজেলায় ২৩২ হেক্টর জমিতে আগাম আলু রোপণ করা হয়েছে। যেসব জমি প্রস্তুত করা হয়েছে তাতে দুই-চার দিন পরেই ক্ষেতে সবজি লাগানোর কথা। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে জমিতে পানি লেগে থাকায় আলু রোপণ আরও পিছিয়ে গেল।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আবু হোসাইন জানান, হঠাৎ বৃষ্টিতে অনেক ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যাবে সঠিক ক্ষতির পরিমান।

Place your advertisement here
Place your advertisement here