• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

তিস্তার পানি বাড়ছেই, কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে পানি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

উজানে ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের সবকয়টি গেট খুলে দেওয়ায় ভাটি অঞ্চলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘরে উঠেছে পানি। ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার সকালের দিকে তিস্তার পানি দোয়ানি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। দুপুর ১২টার দিকে আরো ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে তা ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাত ১০টার দিকে ১৪ সেন্টিমিটার কমলেও বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল পানি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে পানি আরো কমে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

এদিকে, উজানের ঢল নেমে আসা অব্যাহত থাকায় গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। আর রাত ১০টায় বেড়ে ১৭ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল পানির প্রবাহ। আজ সকাল ৯টায় তা আরো বেড়ে পূর্বের রেকর্ড ভেঙে ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এখনও কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের নিম্নাঞ্চলে আবাদ করা ধান, আলু ও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। চরে কয়েক শত হেক্টর জমিতে আগাম আলু রোপন করা হয়েছিল। কিন্তু আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। অনেকের ফসল এরই মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে।

শিবদেব চরের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল বুধবার বিকেল থেকে পানি বেড়েই চলছে। এতে চরের ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

গাবুগা গ্রামের আফছার আলী বলেন, তিস্তার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় এলাকার কৃষকরা আগাম আলু রোপনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অনেকে ইতিমধ্যে আলু রোপন করেছে। আবার অনেকে জমি প্রস্তুত করেছে। এখন সব নষ্ট হয়ে গেল।

একই এলাকার কৃষক আব্দুস ছালাম বলেন, আর কয়েকদিন পরেই ধান কাটা-মাড়াই শুরু হতো। এমন সময় বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।

পীরগাছার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, মাঠে শীতকালীন আগাম সবজিসহ ধান রয়েছে। অসময়ের বন্যায় এসব ফসলের ক্ষতি হবে। তবে পানি দ্রুত নেমে গেলে ক্ষতি কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল আরেফীন বলেন, তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ওই সব এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে সাইক্লোন শেল্টারে যেতে বলা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, তিস্তার পানি আকস্মিক বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে, দ্রুত পানি কমে যাবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here