• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

বিদেশি ছাগল পালন করেই আর্থিক স্বচ্ছলতায় ফিরেছে রতনের জীবন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান রতন মিয়া। এক সময়ে তার সংসারে দেখা দেয় টানাপোড়েন। আর্থিক স্বচ্ছলতায় ফিরতে শুরু করেন বিদেশি জাতের ছাগল পালন। এই খামার করেই ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে তার। গুডবাই জানিয়েছে দরিদ্রতাকে।

বৃধাবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভার হরিণমাড়ী গ্রামে দেখা যায় রতন মিয়ার খামারের চিত্র। এসময় ছাগলকে খাবার দিচ্ছেলেন তিনি।

জানা যায়, রতন মিয়ার সংসারে অস্বচ্ছলতা দেখা দেয়। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে নানা স্বপ্ন দেখেন তিনি। এরই মধ্যে ৩ বছর আগে শুরু করেন বিদেশি জাতের ছাগল পালন। কোন প্রশিক্ষণ ছাড়া স্থানীয় অন্য একটি খামারিকে অনুসরণ করে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন ছাগলের খামার। প্রথমে ১৫টি ছাগল কিনে প্রতিপালন শুরু করা হয়। এরপর প্রজনন থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ছাগলের সংখ্যা। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০টি ছাগল বিক্রি করেছেন। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে আরও ৬০টি ছাগল।

ম্যাচিং পদ্ধতিতে খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। জাতের মধ্যে রয়েছে ব্লাক বেঙ্গল, তোজাপাড়ি, হরিয়ান ছাগল প্রভৃতি। রতন নিজেই ছাগলের পরিচর্যা থেকে শুরু করে সবকিছু দেখাশোনা করছেন। এছাড়াও বাড়ির পাশের পতিত জমিতে আবাদ করেছেন বিদেশি জাতের ঘাস। যা ছাগলের জন্য উৎকৃষ্টমানের খাবার। ঘাস দিয়েই ছাগলের খাবারের বেশিরভাগ চাহিদা মেটাচ্ছেন। এমতাবস্থায় ছাগল পালন করেই অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি।

খামার সম্পর্কে রতন জানান, একটি ছাগলের বছরে দুইবার প্রজনন ক্ষমতা রয়েছে। প্রতিবার প্রজননে একাধিক বাচ্চা দেয়। রোগ-বালাইও কম হয়। বছরে একবার পিপিআর, গডপক্স ভ্যাকসিন দিলেই আর কোনও ওষুধ লাগে না। দুই চারটে ট্যাবলেট লাগলেও লাগতে পারে। ছাগল পালন করে অল্প খরচে বেশি আয় করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ছাগলকে খাওয়ানো হয় কাঁচা ঘাস, গম, ভুট্টা ও ছোলা বুটের গুড়ো সেই সঙ্গে সয়াবিন ও খড়। যা ছাগলের জন্য খুবই পুষ্টিকর। এছাড়াও দেশের বাজারে এসব ছাগলের বেশ চাহিদা রয়েছে। এই খামার করেই আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা ফিরেছে।

পলাশবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসেন জানান, রতর মিয়ার ছাগলের খামার পরিদর্শন করা হয়েছে। তাকে লাভবান করতে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here