• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

করোনায় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন তেঁতুলিয়ার ঢুলিরা   

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

করোনা সংকটকালে সব ধরনের আচার অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তেঁতুলিয়ার ঢুলি শিল্পীরা। ফলে অর্থ ও খাদ্যসংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। বাধ্য হয়েই অনেকে বংশপরম্পরায় চলে আসা নিজেদের পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে যাচ্ছেন। এতে উপজেলা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পটি।

সরেজমিনে উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের কালিয়ামনি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এই গ্রামের ১৮টি পরিবার ঢুলি শিল্পের সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘকাল ধরে ঢোল বাদ্য ও সানাই বাজিয়ে তারা জীবনযাপন করছেন। মাত্র সাড়ে আট শতক জমিতে ১৮টি পরিবারের প্রায় শতাধিক সদস্য বসবাস করছে। প্রতিটি পরিবারের চার/পাঁচ জন সদস্য একটি ঘরেই গাদাগাদি করে থাকেন।

কালিয়ামনি গ্রামের ঢুলি দলের দলনেতা সুরেন্দ্রনাথ রায় জানান, বংশ পরম্পরায় এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত আমরা। বাপ-দাদার কাছ থেকে শিখেছি। বাপ-দাদার আমল থেকেই বিয়ে, খেলাধুলা, পূজা পার্বন অনুষ্ঠানে ঢাক-ঢোল বাদ্য বাজিয়ে আয়-রোজগার করে সংসার চালিয়ে আসছি। এই কাজ ছাড়া অন্য কাজও ভালোভাবে করতে পারি না। স্বাভাবিক সময়ে কাজ থাকায় ভালো ছিলাম। কিন্তু করোনায় সকল প্রকার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা বড় অসহায় হয়ে পড়েছি। একদিকে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, অন্যদিকে আয়-রোজগারও নেই। কাজের অভাবে অনাহারেই কেটে যাচ্ছে প্রতিটি দিন। শান্তিনা রায় জানান, ঘরে স্বামী ও সন্তান অসুস্থ্য। কাজ নেই, সরকার সবাইকে সাহায্য করে আমরা তো কিছুই পেলাম না। চলব কীভাবে, ভগবান ছাড়া আমাদের আর কেউ নেই।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এস কে দোয়েল বলেন, করোনায় কর্মহীন হয়ে এ সব মানুষ অভাব-অনটনে নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করছেন। পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে শিল্পটি। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, মাত্র সাড়ে আট শতক জমিতে ১৮টি পরিবারের বসবাসের বিষয়টি আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক। সরকারিভাবে আমরা চেষ্টা করব ঢুলি শিল্পীদের সব ধরনের সহায়তা করার।

Place your advertisement here
Place your advertisement here