• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীকে আমরা কখনোই ভুলব না: হাতীবান্ধায় ছিটমহলবাসী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ আগস্ট ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

সন্তানদের সুশিক্ষিত করতে বিদ্যালয়ে নিয়ে গেলেও ভর্তি করাতেন না তখন। ছিল না পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ কিংবা মসজিদ-মন্দির। অনেকেই বাঁকা নজরে তাকাতেন। আবার অনেকেই বলতেন, আমরা ভারতীয় নাগরিক। আদতে ছিলাম না কোনো দেশেরই নাগরিক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থলসীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই রাত ১২টা ১ মিনিটে ছিটমহলগুলো বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের নাগরিক করেছেন। বিনিময় চুক্তি না হলে আমাদের স্বপ্ন আজ পূরণ হতো না।

রোববার সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বিলুপ্ত ১৩৫ নম্বর উত্তর গোতামারী ছিটমহলবাসী এভাবেই তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বিনিময়ের পর তারা আর সে দেশে চলে যাননি, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে এ দেশেই থেকে যান। ফলে এখন তারা পাচ্ছেন মৌলিক অধিকারের প্রায় সবগুলো।

তারা বলেন, ভারতের বাসিন্দা হওয়ার কথা ছিলো আমাদের। সুযোগ পেয়েও আমরা ওই দেশে না গিয়ে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েছি। এখন অনেক ভালো আছি। আমাদের এলাকায় এখন সরকারি সব সুবিধা বিদ্যমান। এলাকার বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা সবই পাওয়া যাচ্ছে।

বিলুপ্ত ১১১টি ভারতীয় ছিটমহলের মধ্যে লালমনিরহাট সদর ও হাতীবান্ধায় ছিল দুটি করে ও পাটগ্রাম উপজেলার অভ্যন্তরে ছিল ৫৯টি। এর বাইরে কুড়িগ্রামে ১২, নীলফামারীতে চার ও পঞ্চগড়ে ছিল ৩৬টি ভারতীয় ছিটমহল। বিনিময় চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকেই লালমনিরহাটের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ভারতীয় ছিটমহলগুলোয় শুরু হয় ব্যাপক উন্নয়ন। সরকার শুরু করে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন।

ফলে এসব এলাকায় হয়েছে পাকা রাস্তা, এসেছে বিদ্যুৎ। অনেকেরই ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সৌরবিদ্যুৎ। ঘরে ঘরে বসানো হয় টয়লেট, নলকূপ। হয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও শহিদ মিনার। সেচের জন্য বসানো হয়েছে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্প। বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আসা হয়েছে ভাতার আওতায়। আবার চাকরিতে বিশেষ কোটা চালু করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সব মিলিয়ে এখন সাবেক ছিটমহলবাসীরা বেশ সুখেই আছেন।

হাতীবান্ধার উত্তর গ্রামের (বিলুপ্ত ছিটমহল) এক স্কুলশিক্ষক বলেন, আগে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ ছিল না। এখন এসব সুবিধা পাচ্ছি, আমরা অনেক ভালো আছি।

সুবিধাভোগীরা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীকে কখনোই ভুলব না। কারণ, তিনি আমাদের বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীকে নাগরিক করেছেন, অনেক কিছু দিয়েছেন। কিন্তু কিছু সমস্যার সমাধান চাই আমরা। যেমন সাতটি রাস্তা পাকাকরণ করার কথা থাকলেও সেসব রাস্তা এখানকার নেতারা অন্য স্থানে নিয়ে গেছেন। তাই দ্রুত রাস্তাগুলো পাকাকরণের দাবি করছি। এসব রাস্তা পাকা হলে আমাদের আর কষ্ট থাকবে না।

Place your advertisement here
Place your advertisement here