• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

দিনাজপুরে শ্রাবণ মাসেও বৃষ্টি না থাকায় বিপাকে আমন চাষিরা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

আষাঢ় শ্রাবণ বর্ষাকাল। ভরা বর্ষার মওসুমের আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণ মাসেও বৃষ্টির দেখা নেই। পর্যাপ্ত বৃষ্টির না হওয়ায় ক্ষেতে পানি নেই। আবহাওয়ার এই বৈরীতার মাঝে বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন দিনাজপুরের আমন চাষিরা। 

কাঙ্খিত বৃষ্টির অভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে আমন ধানের চারা রোপন। বৈরী আবাহওয়ার কারণে বর্ষার ভরা মৌসুমে কাঙ্খিত বৃষ্টির অভাবে বিপাকে পড়েছে কৃষক। তাই এখন প্রকৃতির বৈরী আচরণে শুকনো মওসুমের সেই শ্যালো মেশিনই তাদের ভরসা। 

জানা যায়, গ্রাম বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, শ্রাবণের ১৬ ও ভাদ্র মাসের ১৩, এর মধ্যে যত পারো আমন চারা রোপণ করে। আমন চাষে ৩৬০ হতে ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন। কিন্তু জুলাই মাসে জেলায় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়নি। আর বর্ষার ভরা মৌসুমে কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় শ্যালো বসিয়ে পানি সেচের মাধ্যমে বেশির ভাগ জমিতে আমনের চারা রোপন শুরু করেছে অনেক কৃষক। তবে প্রান্তিক চাষিরা এখনও অপেক্ষা করছেন আকাশের বৃষ্টির জন্যে। এতে আমন চাষ পিছিয়ে যেতে পারে অনেকের। 

শতগ্রাম ইউনিয়নের পুলহাট গ্রামের মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, আমন চারা রোপনে বিঘা প্রতি ১০হাজার টাকায় ৭বিঘা জমি বর্গা নিয়েছি। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় চারা রোপন করা সম্ভব হচ্ছে না। পরে শ্যালো ভাড়া করে নিয়ে এসে পানি সেচ দিয়ে চারা রোপন করতে হয়েছে। এতে করে ধান বীজ, শ্রমিক এবং শ্যালো ভাড়া মিলে খরচ বেড়ে গেছে। 

বীরগঞ্জের সুজালপুর ইউপির কোমরপুর গ্রামের প্রমোথ রায় জানান, বৃষ্টি দেখা নেই। তাই বাধ্য হয়ে লোকজন ভাড়া করে জমিতে শ্যালো মেশিন বসাতে হয়েছে। প্রতিদিন মেশিন নিয়ে যাওয়া আর নিয়ে নিয়ে আসায় যেমন ঝামেলা, তেমনি খরচ বেড়ে গেছে। যদি আবহাওয়া না বদলায়, যদি প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হয়, তাহলে নানামুখী সমস্যায় পড়বে আমন চাষ। আর এতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে কৃষক।

ঘোড়াঘাট উপজেলার কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রাবন মাস এলে জমিতে পানি থইথই করে কিন্তু এখন পর্যন্ত পানির দেখা মেলেনি। এভাবে আর কয়েকদিন রোদ থাকলে এ এলাকার অনেক ফসলের মাঠ ফেটে যাবে। 

বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুরেজা মো. আসাদুজ্জামান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে আকাশে বৃষ্টির দেখা নেই। কৃষিতে এর প্রভাব পড়েছে। তবে বৃষ্টি শুরু হলে এ সমস্যা কেটে যাবে। আমরা মাঠে গিয়ে এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের করণীয় বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছি। 

উল্লেখ্য, দিনাজপুরে চলতি আমন মৌসুমে ২ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত আমন রোপণের সময়। এখনই আমন রোপণের উপযুক্ত সময় চলছে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here