• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

রোগী বাড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের কমিউনিটি ক্লিনিকে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রাণকেন্দ্র কমিউনিটি ক্লিনিক। দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। এ অবস্থায় ঠাকুরগাঁওয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের মতিন বাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিতে অনেকে এসেছেন। তারা সাধারণত জ্বর, সর্দি ও পেটের সমস্যা নিয়ে এখানে সেবা নিতে এসেছেন।

এখানে জনসংখ্যা প্রায় দশ হাজার। এর মাঝে গত বছর ৭৭২৬ জন প্রাথমিক সেবা নিয়েছেন। আর চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ সেবা নিয়েছেন। করোনাভাইরাসের কারণে এখানে দিন দিন রোগী বাড়ছে।

সেবা নিতে আসা রোগীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে তারা শহরে না গিয়ে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।এখানকার ওষুধে তারা ভালো উপকার পাচ্ছেন।

দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মী বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে অনেকে শহরে না গিয়ে এখানে সেবা নিতে আসেন।আমরা তাদের সাধারণ চিকিৎসার বাইরে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।

চিকিৎসা নিতে আসা মোমেনা বেগম (৫৬) বলেন, ‘কয়দিন ধরেই আমার পেটের সমস্যা। আমি এখানে ওষুধ নিতে এসেছি। জ্বর হলেও আমি এখানে আসি। বাইরে থেকে কিনে ওষুধ খেলে আমার রোগ ভালো হয় না। এখানকার ওষুধে কাজ ভালো হয়।’

রুহুল আমিন (৬০) বলেন, ‘শরীর দুর্বল মনে হয়। তাই এখানে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে আমাদের পরিবারের সবাই এখানে চিকিৎসা নেয়। এখানকার চিকিৎসায় আমাদের রোগ সেরে যায়।’

আরেকজন বৃদ্ধা বলেন, ‘আমার অ্যালার্জির সমস্যা ও শরীরের দুর্বলতা। আমি এখানে ওষুধ নিতে এসেছি। ডাক্তার আমাকে দেখে ওষুধ দিয়েছেন। এখানকার ওষুধ খেয়ে আমার রোগ সেরে যায়। ক্লিনিক হওয়ার পর থেকে আমি এখান থেকে ওষুধ নিয়ে যাই।’

কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এই ক্লিনিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকি। এছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষা দিয়ে থাকি। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে মূল কাজ হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা দেয়া। ক্লিনিকের শুরুতে রোগীর সংখ্যা কম ছিল। বর্তমান করোনা মহামারি চলা অবস্থায় রোগী বেশি আসছে। জ্বর, সর্দি আক্রান্ত হলে এখানকার মানুষ আমাদের এখানে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা আগে শহরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতেন করোনাকালে তারা এখানে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আগে আমাদের এখানে ওষুধের ঘাটতি ছিল। কিন্তু করোনার সময় আমাদের ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই।’

তিনি বলেন, ‘আগের বছরে আমাদের এখানে ৭৭২৬ জন প্রাথমিক সেবা নিয়েছেন। চলতি বছরের আজ (১৫ জুলাই) পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার জন প্রাথমিক সেবা নিয়েছেন। বর্তমানে যারা জ্বর ও সর্দি আক্রান্ত হয়ে আমাদের এখানে আসেন তাদের আমরা ওষুধ দিয়ে স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আমরা পরামর্শ দিই। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রচার করে যাচ্ছি। প্রচারের কারণে অনেক মানুষ সচেতন হয়েছেন।’

Place your advertisement here
Place your advertisement here