• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

চলিত মাসে দুটি শৈত্যপ্রবাহ: থাকবে তীব্র শীত

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ জানুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

তীব্র শীতে জড়োসড়ো হয়ে পরেছে জন-জীবন। এরই মধ্যে চলতি মাসে সারাদেশে দুটি শৈত্যপ্রবাহ আসবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

তিনি জানান, শৈত্যপ্রবাহের সময় দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় কন-কনে শীত অনুভুত হতে পারে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব বেশি থাকবে। 

সামছুউদ্দিন আহমেদ জানান, আগামী ৩, ৪, ৫ জানুয়ারি সারাদেশে বৃষ্টি হবে। এরপর ৬ জানুয়ারি থেকে সারাদেশের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে একটি মাঝারি শৈত্য প্রবাহ শুরু হবে। সেসময় তাপমাত্রা হবে ৬ বা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাস শেষে আসবে তীব্র শৈত্য প্রবাহ। তখন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রির নিচে চলে আসতে পারে। 

শৈত্যপ্রবাহের সময় রাজশাহী বিভাগ, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা বিভাগের কিছু অংশ, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও চট্টগ্রামের বাঘাইছড়িতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকবে বলে জানান তিনি। 

সামছুউদ্দিন আহমেদ আরো জানান, রাতের তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রির নিচে থাকলে সেটিকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। 

তিনি জানান, গত ডিসেম্বরে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের সময় সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত বছর ছিল ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ আর নতুন বছরে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা কত হবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। এটি কয়েকদিন পর বোঝা যাবে। 

তাপমাত্রা কমার কারণ কি- এমন প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বলেন, তাপমাত্রা সাধারণত সূর্যের কিরণকাল ও বায়ু প্রবাহের ওপর নির্ভর করে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও এ ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। 

এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ও সচিব শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here