• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

ইসির সংলাপ নিয়ে বিএনপিতে বিভক্তি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মতবিনিময়ের জন্য বিএনপিকে চিঠি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে এ সংলাপে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ শুরু হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিও পত্রের মাধ্যমে এ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। চিঠিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলীয় অন্যান্য নেতা এবং প্রয়োজনে সমমনা দলগুলোর নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। 

তবে চিঠি পাওয়ার পর বিএনপিতে দেখা দিয়েছে বিভক্তি। এক পক্ষ ইসির সংলাপ ইতিবাচকভাবে দেখছে। তারা কমিশনে গিয়ে সংলাপে বসতে আগ্রহী। অন্যদিকে অপর একটি পক্ষ এই সংলাপের ঘোর বিরোধীতা করছে।

ইসির চিঠি পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান খুবই পরিষ্কার। আমরা নির্বাচন কমিশনে কোনো আলোচনায় যাব না।

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে ইসির সঙ্গে আলোচনা অনর্থক বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। 

তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র বিএনপি নেতা ইসির সংলাপ বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। 

মির্জা আব্বাস গণমাধ্যমে বলেছেন, ইসির সঙ্গে আলোচনায় বসলে যে বিএনপি সব মেনে নিলো, বিষয়টি তা নয়। তবে সংলাপ অনেক সমস্যার সমাধান দেয়। 

মির্জা আব্বাসের এমন বক্তব্যে বিএনপিতে বিভত্তি দেখা দিয়েছে। তৃণমূলের নির্বাচন প্রত্যাশী নেতারা তার পক্ষে রয়েছেন। অপরদিকে ফখরুলপন্থীদের কাছে দালানে পরিণত হয়েছেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

এদিকে ইসির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। যেকোনো উপায়ে হোক সংসদে যেতে হবে বিএনপিকে। আর বর্তমান বিএনপির যে হাল তাতে আলোচনা ছাড়া আর বিকল্প পথ নেই। অন্যদিকে তারেক রহমান বা মির্জা ফখরুলরা যদি আন্দোলন জোরদার করতে পারতো, তাহলে হয়তো বিএনপি লাভবান হতো। তবে দলটির হাইকমান্ড সরকারের ওপর ন্যূনতম চাপ তৈরি করতে পারেনি। এখন আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরা উচিত বলেও মত দেন তারা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here