• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীল নকশা তারেকের!

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এজেন্টদের পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির দণ্ডপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিগত ৮ বছরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে অন্তত ২.৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছেন তারেক রহমান। 

বিএনপির দুর্নীতিগ্রস্ত এই শীর্ষ নেতার ইন্ধনে সুইডেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় জোটবদ্ধ একটি চক্র রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করছে। এর বিনিময়ে এসব এজেন্ট প্রতি মাসে পাচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা।

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, তারেক রহমানের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি কমিশন নেন সাংবাদিক নামধারী বিতর্কিত লেখক তাসনিম খলিল। তিনি সুইডেনে বসে মনের মাধুরী মিশিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে তারেক রহমানের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৩৫ হাজার ডলার পান। আর এসব গুজবকে বাংলাদেশে প্রচার করতে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা তারেকের টিম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে ফেসবুক। প্রচারের কাজে ব্যবহৃত তারেকের টিমকেও দেওয়া হয় বিশাল অঙ্কের অর্থ।

এর পরবর্তী অবস্থানে রয়েছেন জামায়াত ঘেঁষা নামধারী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ও কনক সারোয়ার। তারা নিজেদের কুকর্ম যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিচালনা করেন। প্রতি মাসে গুজব ছড়াতে উভয়ের প্রত্যেকে ৩৩ হাজার ডলার নেন।

চতুর্থ অবস্থানে আছেন কানাডাভিত্তিক একটি চক্র। এ চক্রের প্রত্যেকেই প্রতিমাসে যথাক্রমে ১২ হাজার ডলার করে কমিশন নেন তারেক রহমানের কাছ থেকে।

প্রশ্ন উঠতেই পারে, এতো টাকা তারেক রহমান কোথায় পান? এ বিষয়ে অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, মূলত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেয়া ২৭৩ জন মনোনীত প্রার্থী থেকে জনপ্রতি ৫ কোটি টাকা করে সর্বমোট ১৩৬৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন তারেক। এছাড়াও  নতুন কমিটি দেওয়ার নামে তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে হাতিয়ে নিয়েছিলেন ৫৫০ কোটি টাকা।

এছাড়া বাংলাদেশের গ্যাসক্ষেত্র বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত কানাডার কোম্পানি নাইকো থেকে বন্ধু গিয়াসউদ্দিনের মাধ্যমে তারেক রহমান ৪৫ লাখ ডলারের ঘুষ নিয়েছিলেন। শুধু বিদ্যুৎ সেক্টর থেকেই ২০ হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছিলেন তারেক। বিদ্যুতের নতুন সঞ্চালন লাইন স্থাপনের নামে শুধু খুঁটি পুঁতে এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সৌদি আরবে ১২০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ পাচার করেছেন তারেক রহমান। এ অর্থ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ দিয়েই তিনি বিভিন্ন দেশে অবস্থিত তার এজেন্টদের ভরণপোষণ করেন বলেও জানা গেছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here