• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

খালেদাকে হাসপাতালে রেখে ফায়দা হাসিলের ফন্দি এঁটেছে বিএনপি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

লন্ডন পালাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, যত কিছুই হোক না কেন দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে হাসপাতালেই রাখতে হবে। কারণ তাকে হাসপাতালে রাখতে পারলেই বিএনপির রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল হবে। 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া সুস্থ হলেও যাতে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে না পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জোর তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। 

সূত্রের তথ্য মতে, লন্ডনে তারেক রহমানের চোখ ধাঁধানো আয়েশি জীবন-যাপনে প্রতি মাসে মোটা অংকের অর্থের প্রয়োজন। এর সিংহভাগই আসে পদ-মনোনয়ন এবং তদবির বাণিজ্য দিয়ে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মাস শেষের আগেই তার টাকা খরচ হয়ে যায়, তখন তিনি নানা অজুহাতে বড় বড় অংকের চাঁদা দাবি করেন নেতাকর্মী ও দাতাদের কাছে। 

বর্তমানে তারেক রহমান নেমেছেন নতুন মিশনে। তারেকের নির্দেশনা অনুযায়ী, সুস্থ হলেও যেকোন মূল্যে দলীয় চেয়ারপার্সনকে হাসপাতালে রাখতে হবে। এতে সরকারকে দোষারোপ করে রাজনীতি করা যাবে। এছাড়া খালেদার যদি কিছু হয়েও যায়, এর দায় সরকারের ওপর চাপিয়ে নামা যাবে বৃহৎ আন্দোলনে। এভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতার মসনদে পৌঁছানোই তার লক্ষ্য!

সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, খালেদা এখন তারেকের নতুন ট্রাম্পকার্ড। তাকে নিয়েই নতুন পরিকল্পনার জাল বুনেছেন। হরহামেশাই এ নিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর সঙ্গে তিনি আলাপচারিতা করছেন। 

তারেকের মতে, খালেদা জিয়া যতদিন হাসপাতালে থাকবেন, ততদিনই বিএনপির লাভ। কারণ এ সময়টা বিএনপি যা-ই করুক না কেন, দলীয় নেত্রীর মুক্তির লক্ষ্যেই এসব করা হচ্ছে বলে সবাই ভাববেন। তাই বিএনপির সব অপকর্মের দোষ চাপানো হবে সরকারের ঘাড়ে। 

আবার বার্ধক্যজনিত কারণে যদি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়া মারাও যান, এরও রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তারেক। পরিকল্পনা অনুযায়ী সবার কাছে তারেক বলবেন, বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি বলেই খালেদার মৃত্যু হয়েছে। আর এ জঘন্য মিথ্যাটি জনগণের মাঝে ‘পুশ’ করানো গেলেই সরকার পতনের আন্দোলন বেগবান হবে। 

পাশাপাশি পরিবারসহ সবাইকে তারেক নির্দেশ দিয়েছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা নিয়ে সরকারের কাছে আর যেন দেনদরবার না করা হয়। এটি করলে বিএনপির ফায়দা হাসিলের রাজনীতিতে ছেদ পড়বে। 

এদিকে বিশিষ্টজনরা বলছেন, তারেকের এ ধরনের চক্রান্ত কখনোই সফল হবে না। কারণ খালেদা জিয়া ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। চিকিৎসকরাও বলছেন, তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। তাই বলা বাহুল্য, তারেকের লাভের গুড় পিঁপড়াতেই খাবে। অতীতেও এমনটা বহুবার হয়েছে।

তারা আরো বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে লন্ডনে বসে নিজের মাকে নিয়ে তারেক যে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছেন, তা সৃষ্টিকর্তা কোনোভাবেই সইবেন না। কারণ বৃদ্ধা  মাকে নিয়ে তারেকের এমন নোংরা রাজনীতি ক্ষমার অযোগ্য।

এবিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যিনি নিজের গর্ভধারিণী মাকে নিয়েও ন্যাক্কারজনক রাজনীতিতে মেতে ওঠেন, তিনি  আর যা-ই হোন,  প্রকৃত মানুষ হতে পারেন না। এছাড়া তারেক রহমানের রাজনীতিতে আদর্শেরও সংকট রয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here