• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হয়েও দল নিয়ে উভয় সংকটে তৈমুর

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারি ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হয়েও নিজ দলের কেন্দ্র থেকে রীতিমতো ‘হটকারি’ নানামুখী সিদ্ধান্ত আসছে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে নিয়ে। ২০২১ সালে ভোটের মাত্র ৮ ঘণ্টা আগে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

এবারো স্থানীয় বিএনপির একটি অংশও পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে বিরোধিতা করছেন তৈমুরের নির্বাচন করা নিয়ে। তবে তৈমুর বলছেন, তার ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক না থাকায় তিনি এখন মুক্ত, তিনি এখন জনতার।

বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামার পরপরই নিজের দল থেকেই একের পর এক দ্বিধা-দ্বন্দ্বের শিকার হচ্ছেন। তৈমুরের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে নামার পরপরই ভেঙে পড়া সাংগঠনকি শক্তি প্রদর্শনে সক্ষম এখানকার নেতাকর্মীরা। 

বিপত্তি দেখা দেয় গত ২৫ ডিসেম্বর। ওইদিন তাকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই ঘটনার ৯ দিন পর গত সোমবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদ থেকে তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়।

এসব নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝেও বেশ উৎফুল্লতা দেখা দিলেও স্থানীয় বিএনপির নেতাকার্মীরা মনে করছেন এটি বিএনপির নির্বাচনি কৌশল। কারণ এরইমধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিফোনে তৈমুরের পক্ষে মাঠে থাকার ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, তৈমুরের জয় মানেই জনতার জয়।

জেলা বিএনপির একটি অংশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তৈমুরের বিরোধিতা করছেন। তারা বলছেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করা উচিত হয়নি তৈমুরের। এরইমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের সাবেক বিএনপি দলীয় এমপি গিয়াস উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর (সদ্য সাবেক) সাদরিল নিজেই সরকারদলীয় প্রার্থী আইভীর সঙ্গে প্রচারণা করেছেন, নৌকায় ভোট চেয়েছেন।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহামুদ জানিয়েছেন, বিএনপি নির্বাচনে নেই, বিষয়টি স্পষ্ট করতে তৈমুরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনপন্থিরা পরোক্ষভাবে সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। যদিও গিয়াস উদ্দিনকে দলীয় নেতাকর্মী বা মিডিয়াকর্মীদের কেউই পাচ্ছেন না গত ২ সপ্তাহ ধরেই। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের ব্যাপারে নেয়া কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা। 

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম টিটু, রুহুল আমিন শিকদার বলেন, যারা চাচ্ছেন বিএনপির এই জাগরণ আবার ঘুমিয়ে পড়ুক, তারা কখনোই দলের হিতাকাঙ্ক্ষী নয়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here