মিথ্যা-অপপ্রচারই বিএনপির প্রধান রাজনৈতিক কৌশল

সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলনের বার বার ব্যর্থ হয়ে একেবারেই দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিএনপি। তাই উপায়ন্ত না পেয়ে দলটি এবার নানারকম মিথ্যা ও অপপ্রচারকেই কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে। 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দেশে-বিদেশে এ রকম এক হাজার ব্যক্তিকে নিযুক্ত করেছে বিএনপি। তাদের মূল কাজই হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা। 

এসব তথ্য আবার বিএনপি নেতারা তাদের ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচার করছে। অর্থাৎ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন নয় বরং ডিজিটাল জগতে সাইবার মিথ্যাচারের মধ্যেই আছে বিএনপি। আর এর সঙ্গে যোগ দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামও।

সম্প্রতি দুই দফায় বিএনপির ছয় দিনব্যাপী বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে বিএনপির ধারাবাহিক বৈঠক করারও কথা রয়েছে।

তবে বিএনপির একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এসব বৈঠকে সাংগঠনিকভাবে ফলপ্রসু কোনো আলোচনাই হয় না। নিজ দলের নেতাকর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে দোষত্রুটি নিয়ে সমালোচনা ও বিতর্কের মধ্য দিয়েই বৈঠকের শেষ হয়। বিএনপি সাংগঠনিকভাবে এখনো সক্রিয় বুঝাতে এসব বৈঠকের আয়োজন করা হয়। আর এর মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করাই তাদের প্রধান কৌশল।

এদিকে দেশ-বিদেশে বিএনপির প্রোপাগান্ডামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তারেক জিয়ার আর্থিক সহায়তায়। লন্ডনে তারেক জিয়া হাওয়া ভবনের আদলে আরেকটি অফিস খুলেছেন। সেখানে তারেক জিয়ার সঙ্গে হারিছ চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান কাজ করছেন। আর এ অফিসের মাধ্যমেই দেশে-বিদেশে প্রোপাগান্ডার জন্য কিছু ব্যক্তিকে নিযুক্ত করা হচ্ছে। এদের মাসিক মাসোয়ারাও দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির বিভিন্ন সূত্র বলছে, প্রতি মাসে অন্তত ১০ থেকে ২০ কোটি টাকা শুধু অপপ্রচারের জন্য খরচ করছে বিএনপি। এ সমস্ত অপপ্রচারকারীদের প্রধান কাজ হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবাস্তব, নোংরা ও কুৎসিত ইস্যু উত্থাপন করা এবং সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া। 

সূত্র মতে, এ মুহূর্তে বিএনপির টাকায় দেশে-বিদেশে ৫৬টি ইউটিউব চ্যানেল চলছে। ৭২টি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে সরকারকে আক্রমণ করা হচ্ছে।