• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

সিরিজ বৈঠকের পরও হতাশা কাটেনি বিএনপি নেতাদের

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে তিন দিনের সিরিজ বৈঠকের পরও হতাশ বিএনপি নেতারা। এ কারণে অতি শিগগিরই কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ শীর্ষস্থানীয় নেতা ও পেশাজীবীদের সঙ্গে সভা করবেন তারেক রহমান।

এরপর সমাবেশের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে দলের। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দাবিতে এ সমাবেশ হবে।

জানা যায়, সমাবেশ কর্মসূচির বিষয়ে সিরিজ বৈঠকে কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ-সংগঠনের কাছ থেকে দুই ধরনের মতামত পেয়েছে দলীয় হাইকমান্ড। অনেকে সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করার কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরে এ কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে কোনো ঐক্যমতেই পৌঁছাতে পারেনি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে সমাবেশের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে হাইকমান্ড।

তবে বিভাগীয় পর্যায়ে নাকি জেলা শহরে সমাবেশ হবে, তা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।

কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, সভায় দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবি আদায়ের জন্য জোরদার আন্দোলনের ব্যাপারে সব নেতাই একমত পোষণ করেছেন। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনকে সামনে রেখে শিগগিরই সমাবেশ কর্মসূচি দেওয়ার ব্যাপারে মত দিয়েছেন নেতারা।

কর্মসূচির ব্যাপারে সভায় বিএনপির হাইকমান্ড বলেন, সমাবেশ কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। তবে বিভাগীয় পর্যায়ে না জেলা শহরে হবে- তা স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তিন দিনের ধারাবাহিক বৈঠকে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কী করণীয় এবং সংগঠনের অবস্থা কেমন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলেছি। আমরা আরো কিছু সভা করব। বিশেষ করে দলের নির্বাহী কমিটি সদস্য ও জেলা নেতাদের নিয়েও সভা করব, তাদের মতামত শুনব।

তিনি বলেন, পেশাজীবীদের সঙ্গেও আলোচনা করার কথা রয়েছে। এ সপ্তাহে আরো একবার আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, তিন দিনের সিরিজ বৈঠকে নেতারা আগামীতে আন্দোলন কর্মসূচি সফল করতে হলে রাজধানী ঢাকাকে প্রস্তুত করার কথা বলেন।

তারা বলেন, বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কোথায় সমস্যা ও সমন্বয়হীনতা আছে- এসব বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। অঙ্গ-সংগঠনের সঙ্গে মূল দলের যে সমস্যাগুলো আছে তা নিরসন করতে হবে।

নেতারা আরো বলেন, বৈঠকে অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো ‘ঠিক করার তাগাদা’ এসেছে। বিশেষ করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ‘দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি’ গঠনের ব্যাপারে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়। অঙ্গ-সংগঠনের কমিটি দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে না, কমিটিতে স্থান পেতে নানা তদবির-লবিং করতে হয়, মফস্বল থেকে ঢাকায় এসে কমিটির জন্য তদবির করতে হয় ইত্যাদি বিষয়গুলোও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নজরে আনেন নেতারা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here