• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

সহিংসতার মামলা: তালিকায় ২১ জেলার ২০০ হেফাজত নেতা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের ব্যাপ্তি আরো বাড়ছে। অভিযান শুরুর আগে পুলিশ হেফাজতে ইসলামের ৩০ সদস্যের একটি তালিকা করলেও নতুন করে প্রায় ২০০ জনের নামে নতুন তালিকা করা হয়েছে। এতে রাজধানীসহ ২১ জেলার নেতা-কর্মীর নাম রয়েছে।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয়ভাবে তৈরি এই তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।

পুলিশ সূত্র বলছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় সাম্প্রতিক সহিংসতায় সংগঠনটির যেসব নেতা-কর্মী সক্রিয় ছিলেন বা উসকানি দিয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ওয়াজ মাহফিল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তেজনাপূর্ণ বক্তৃতা দেন এমন কিছু হেফাজত নেতা ও ব্যক্তির নামও রয়েছে।

তালিকায় থাকা হেফাজতের শীর্ষ ও মধ্যম সারির নেতাদের অনেকেই ধর্মভিত্তিক অন্যান্য দলের সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত আন্দোলন, ২০ দলভুক্ত খেলাফত মজলিস এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও তালিকায় আছেন। 

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, তালিকার মধ্যে থাকা নেতা-কর্মীদের ৬৮ জনকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের, ৩৯ জন করে ৭৮ জন। ঢাকার আছেন ২০ জন, কক্সবাজারের ২৭ জন, ফরিদপুরের ১১ জন ও নারায়ণগঞ্জের আছেন ৭ জন। এর বাইরে সিলেট, হবিগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ফেনী, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, খুলনা, বগুড়া, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী ও সুনামগঞ্জের নেতা-কর্মীদের রয়েছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা হয়। ২৬ মার্চ জুমার নামাজের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জের ধরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাদরাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে এবং থানাসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা হয়। ওইদিন হেফাজত নেতাদের নেতৃতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভে নামেন মাদরাসার ছাত্ররা। সেখানে রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়। এরপর ২৭ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা ও সরকারি স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা ঘটে। 

উল্লেখ্য, ওই তিন দিনের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭৭টি মামলার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। এসব মামলায় আসামি ৪৯ হাজারের বেশি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here