• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

তিস্তা পাড়ের জীবনসংগ্রামী নারী মনিরার স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

মনিরা, তিস্তা পাড়ের জীবনসংগ্রামী স্বাবলম্বী নারী। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তার কোলঘেঁষে একটি গ্রাম গান্নারপাড়। স্বামী আলা মিয়া একজন দিনমজুর। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। জমাজমি নেই। অন্যের জমিতে থাকে। সীমাহীন দুঃখকষ্টের মধ্যে বাস। এরই মধ্যে পথ দেখায় একটি বেসরকারি সংস্থা। আট বছর আগে কিনে দেয় এককালীন ৩টি ভেড়া। এ নিয়ে স্বপ্নবুনে মনিরা। নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে সুখের আশায় প্রহর গুনে। দিন যায় মাস যায়। মাস পেরিয়ে বছর। এরই মধ্যে আট বছর কেটে যায়। মনিরার ঘরে এখন সুখের বাতাস বইছে।

ঘরে দুই মেয়ে। বড়ো মেয়ে আমেনা বিএ ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছে, আর ছোটোটি এসএসসি পাশ করেছে এবার। ভেড়া এখন তিন থেকে ১৭। তাছাড়াও গেল আট বছরে ৫০ থেকে ৬০টি ভেড়া বিক্রি করেছে। ১৭টি ভেড়া নিয়ে এখন পাল। মনিরার কোনো কাজ নেই। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিস্তায় ভেড়ার পাল নিয়ে এই চর থেকে ঐ চর ছুটে চলা। রাতের জন্য ঘাস কেটে রাখা। ভেড়াগুলোও একদম শিকারি হয়ে গেছে। খুব আদরের এসব ভেড়া। ভেড়াগুলোকে মেয়েদের মতো আদর করে খাওয়ায়। সামনে চলে মনিরা আর পিছনে সারিবদ্ধভাবে ভেড়ার পাল। তার কথা শুনে পিছনে ছুটে চলে। মনিরা বলেন, এক একটি ভেড়া ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন। সম্প্রতি চর থেকে ভেড়া নিয়ে ঘরে ফেরার সময় কথা হয় মনিরার সঙ্গে।

এ সময় মনিরা বলেন, এনজিও থেকে এলাকার অনেকে ভেড়া পেয়েছিল। কারো ভেড়া নাই। শুধু সেই ভেড়া পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here