• মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ১৯ ১৪৩০

  • || ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম: প্রধানমন্ত্রী পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কুড়িগ্রামে কবর খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো সাদা কাপড়ে মোড়ানো পুতুল-তাবিজ গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার রংপুরে স্পিকার, বাণিজ্যমন্ত্রীসহ ১৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

নদীতে জেগে ওঠা চরে দেখা দিয়েছে সবুজ বিপ্লবের হাতছানি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় ৭৫ হাজার হেক্টরের বেশি জেগে ওঠা চরে দেখা দিয়েছে সবুজ বিপ্লবের হাতছানি। চরের জমিতে বিভিন্ন ফসল শোভা পাচ্ছে। প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। এসব ফসল কৃষকদের বাড়তি আয়ের পাশাপাশি এই অঞ্চলের অর্থনীতির গতি সচল রাখবে। প্রতি বছর এ অঞ্চলে বন্যা ও নদী ভাঙনে শত শত মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়েন। আবার শুকনো মৌসুমে জেগে ওঠা চর সবুজে সবুজে ভরে উঠে কৃষকদের কাছে স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দেয়।

রংপুর কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় তিস্তা, ব্রক্ষ্মপুত্র, ধরলা, ঘাঘট, চারালকাটাসহ অন্যান্য নদ-নদীগুলোতে প্রায় এক লাখ হেক্টরের বেশি জমির চর রয়েছে। এর মধ্যে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৭৫ হাজার হেক্টর। জেগে ওঠা এসব চরের জমিতে আলু, ভুট্টা, গম, বাদাম, তিল, তিসি, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, করলা, সরিষা, সূর্যমুখী, গাজরসহ বিভিন্ন শাকসবজি আবাদ হচ্ছে। ফলে এখন চরের যেদিকেই তাকানো যাবে, সেই দিকেই দেখা যাবে সবুজের সমারোহ। চর এখন সবুজের বাগানে ভরে উঠেছে।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এসব চরে আলু প্রতি হেক্টরে ২৪/২৫ মেট্রিক টন, ভুট্টা ১২/১৩ মেট্রিক টন, গম তিন থেকে সাড়ে ৩ টন, শাক-সবজি প্রতি হেক্টরে ১৫ থেকে ২০ টন উৎপাদন হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে এসব ফসল ফলায় কৃষকরা বন্যার সময় প্লাবিত হওয়ার দুঃখ কিছুটা ভুলে যাচ্ছেন। নদী পানি শূন্য হয়ে পড়ায় সেগুলো এখন আবাদি জমিতে পরিণত হয়ে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন করছে।

গঙ্গচড়া উপজেলার লক্ষীটারি ইউনিয়নের আবুল কালাম, মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, বন্যার সময় তিস্তা দুইকূল ছাপিয়ে প্লাবিত করলেও শুকনো মৌসুমে ফসলের আবাদ করে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য আসে তাদের। চরে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে বাড়তি টাকায় অনেকে অনেক প্রয়োজন মিটাচ্ছেন।

লক্ষীটারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হিল হাদি বলেন, চরের অধিকাংশ মানুষ এখন বিভিন্ন প্রজাতির ফসল উৎপাদন করে দারিদ্র্য দূর করছেন।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আফতার হোসেন বলেন, রংপুর অঞ্চলের চরে ৭৫ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১০০ কোটি টাকার ওপরে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here