• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

গঙ্গাচড়ায় সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ৪টি গ্রাম

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ৪ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিস্তা নদীর পানির চাপে সড়কটি ভেঙে গেলে দুর্ভোগে পড়ে এলাকাবাসী। এতে করে উপজেলা সদরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের পূর্ব ইছলি গ্রামের ওই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অনেক মানুষ উপজেলা সদরে নানা কাজে যান। কিন্তু তীব্র বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির চাপে কয়েকদিন ধরেই ইছলি-বাগেরহাট সড়কের ইছলি সেতুর সংযোগ সড়কে ভাঙন দেখা দেয়। 

অবশেষে রোববার সড়কটি ভেঙে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে ৪টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ। 

এর ফলে সড়কপথে উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়া গ্রামগুলো হলো পূর্ব ইছলি, পশ্চিম ইছলি, শংকরদহ ও বাগেরহাট।

স্থানীয়রা বলেন, দুই বছর আগে বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে যায়। তখন সেখানে মাটি ফেলে ভরাট করলেই চলাচল করা সম্ভব হতো। কিন্তু ভাঙা স্থানে দুই বছরেও মাটি ফেলা হয়নি। সেই ভাঙা অংশ গত দুই দিনের পানির তোড়ে আরও ভেঙে গেছে।

বুধবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, ইছলি-বাগেরহাট সড়কের ইছলি সেতুর পূর্ব দিকে সংযোগ সড়কের কাঁচা রাস্তাটি ভেঙে গেছে। ভাঙা সড়কের ওপর দিয়ে নদীর পানি বইছে। লোকজন সড়কের ভাঙা স্থানে বাঁশের খুঁটি দিয়ে সাঁকো তৈরি করছেন।

সাঁকো তৈরির কাজে ব্যস্ত কয়েকজন বলেন, সাঁকোটির দৈর্ঘ্য ১৫০ ফুট ও প্রস্থ চার ফুট। বাঁশের খুঁটির ওপর দিয়ে চাটাই দিয়ে সাঁকো তৈরি করা হবে। এর ওপর দিয়ে মানুষের চলাচল করতে পারলেও যানবাহন যেতে পারবে না। তবে হেঁটে বাইসাইকেল নেওয়া যাবে।

সাঁকো নির্মাণকারীদের একজন পূর্ব ইছলি গ্রামের রেজাউল ইসলাম। তিনি বলেন, এর আগে শুকনা মৌসুমে চলাচল করা গেলেও দুই দিনের পানিতে সেটিও ডুবে যায়। নতুন করে আরও কিছু রাস্তা ভেঙে পড়ে। মানুষের চলাচলে যাতে উপকার হয় সে জন্য বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করা হচ্ছে।

একই এলাকার হামিদার রহমান বলেন, নিজেরাই টাকা তুলে এই সাঁকোর কাজ শুরু করা হয়েছে।

এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন শংকরদহ গ্রামের বাসিন্দা ও স্কুলশিক্ষক আবদুল জলিল। তিনি বলেন, যারা এই ভাঙা রাস্তায় সাঁকো তৈরি করছেন তাঁদের জন্য দোয়া থাকল। তাদের এই কাজের সঙ্গে গ্রামের অন্য মানুষেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

২০১৩ সালে পূর্ব ইছলি গ্রামে উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করে। সেতুটি ২০১৭ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন সেতুটির এক অংশের সংযোগ সড়কের সামান্য কিছু অংশ ভেঙে যায়।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীটারি ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহেল হাদী বলেন, ভাঙা সড়ক নির্মাণে এই মুহূর্তে বরাদ্দ নেই। এলাকার মানুষজন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন। তিনিও সহযোগিতা করতে চেয়েছেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here