• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

স্কুল থেকে ফিরে ঘরে ‘ছটফট’ করে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রীর

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের কাউনিয়ায় বিথী রাণী নামে অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের নিলাম খরিদা সদরা গ্রামে নিজ বাড়ির উঠান থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তার মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মৃত বিথী রাণী নিলাম খরিদা সদরা গ্রামের শ্রী কিরেন চন্দ্র বর্মনের মেয়ে এবং গোবরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে টেপামধুপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে খাবার খেয়ে নেয়। এরপর সে ঘরের মধ্যে থাকা ধানক্ষেতে দেওয়া কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঘরের মধ্যে তাকে ছটফট করতে দেখেন পরিবারের লোকজন। তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে বুধবার সকালে পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে অসুস্থ ওই মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসার পথে মারা যায় সে।

তিনি আরো বলেন, পারিবারিক ঝামেলার কারণে ওই মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, স্কুলছাত্রী বিথী রাণী কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাড়িতে গ্রামের পল্লী চিকিৎসক দিয়ে ওয়াশ করা হয়। এতে সে আরও অসুস্থ হয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। মারা যাওয়ার পর বুধবার দুপুরে গোপনে মরদেহ দাহ করার প্রস্তুতি নেয় স্বজনরা। পরে খবর পেয়ে বাড়ীর উঠান থেকে ওই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।

কাউনিয়া থানা পুলিশের ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, কোন কারণে আত্মহত্যা করেছে, এমন কোনো তথ্য পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসাপত্র ও ছাড়পত্র দেখাতে পারেননি স্বজনরা। মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here