• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

`রংপুরে অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে ভোটগ্রহণ বন্ধের মতো পদক্ষেপ`

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা আগামী জাতীয় সংসদের  ইভিএমে নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন, আমাদের সামর্থ্য থাকলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ৩০০ আসনে নির্বাচনে করতাম। কিন্তু বর্তমানে সর্বোচ্চ দেড়শ আসনে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন করা সম্ভব হবে।

শনিবার সকালে প্রিজাইডিং-সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সার্কিট হাউজে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা রংপুর সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। নির্বাচন চলাকালীন কোনো অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনের মতো ভোটগ্রহণ বন্ধের মতো পদক্ষেপ নেয়া হবে।

রাজনৈতিক দলের লোক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তা রাজনীতি করতে পারবেন না। নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হন শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তারা। তাই রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা প্রিজাইডিং অফিসার হয় না। অপরদিকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তারাও তো ভোট দেন, কোনো দলের প্রতি তাদের সমর্থন থাকতে পারে। সে বিষয়টি চিহ্নিত করা কঠিন ব্যাপার।

তিনি আরও বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা ইভিএমকে বেছে নিয়েছি। ইভিএমের মাধ্যমে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সেগুলোতে জাল ভোটের মতো ঘটনা ঘটেনি এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবো। ইভিএমে ভোট প্রদান পদ্ধতি সকল পর্যায়ের ভোটারদের জানাতে ব্যাপক প্রচারণা ও নমুনা ভোট প্রদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

উইপোকায় নষ্ট হওয়া ইভিএম মেশিন নিয়ে তিনি বলেন, রংপুরের কিছু ইভিএম মেশিন নষ্ট হয়েছে। কিন্তু আমাদের স্টকে অনেক ভাল ইভিএম রয়েছে। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অবশ্যই ভাল মেশিন ব্যবহার করা হবে।

জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি’র অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে, বিভিন্ন সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা তাদের বলছি, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব না রেখে আসেন, বসেন ও আলোচনা করেন। আমরা তাদের আহ্বা ন জানাচ্ছি, কিন্তু তারা না আসলে আমাদের তো করার কিছু নেই। এরপরেও আমরা তাদের আহ্বান করতে থাকবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেনসহ নির্বাচন কর্মকর্তারা। এরপর তিনি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here