• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

বাবার লাশ মর্গে, কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষা দিলো মেয়ে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

বুধবার সন্ধ্যায় বাবার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে পরদিন এসএসসি পরীক্ষা। শেষ পর্যন্ত বাবার লাশ রেখে অশ্রুসজল চোখে পরীক্ষা দিলেন সুমনা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সুমনা এক হাতে চোখ মুছছেন, অন্য হাতে কলম দিয়ে লিখছেন পরীক্ষার খাতায়। মাঝে মধ্যেই ফুঁপিয়ে কেঁদেও উঠেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রংপুরের কাউনিয়া মোফাজ্জল হোসেন সরকারি মডেল উ”চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

সুমনা কাউনিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। সে উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের স্বাব্দী গ্রামের শাহজাহান আলীর মেয়ে।

জানা গেছে, বুধবার ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সারাদিন আর বাড়িতে ফিরেনি সুমনার বাবা শাহজাহান আলী। ওইদিন সন্ধ্যায় বালাপাড়া ইউনিয়নে মৌলভীবাজার এলাকায় তিস্তার শাখা মানাষ নদীতে মাছ ধরা কালে মাঝিরা পানির কচুড়িপানার মধ্যে অজ্ঞাত এক লাশ দেখতে পায়। মুহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাশের ছবিসহ সংবাদটি প্রচার হয়।

পরে সুমনার স্বজনরা তার বাবার লাশ শনাক্ত করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে মর্গে পাঠিয়ে দেয়। বেলা ১১টার আগেই চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষা কেন্দ্রে যায় সুমনা। সহপাঠী ও কেন্দ্র শিক্ষকদের সহযোগিতায় প্রথম দিনের বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। পরীক্ষার্থী সুমনার চোখে জল দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।

সুমনার সহপাঠী মিথিলা ও শাবানা জানান, পরীক্ষার হলে বাবার শোকে পুরো সময়ই কেঁদেছে আর খাতায় লিখেছে সুমনা। এ দৃশ্য দেখে তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা শোকাহত হয়েছেন।

কাউনিয়া মোফাজ্জল হোসেন সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব মো. আইযুব আলী জানান, পরীক্ষার্থী সুমনা আক্তারের বাবার মৃত্যু ঘটনা আমরা শুনেছি। আমরা তাকে সান্তনা দিয়ে পরীক্ষা দিতে উৎসাহ দিয়েছি। সবার সঙ্গে বসে পরীক্ষা দিলে তার জন্য ভালো হবে ভেবে কোনো বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। সে সবার সাথে স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা দিয়েছে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here