• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

১৮ ছুরিকাঘাতে ইভাকে হত্যা, ২ আসামি দুইদিনের রিমান্ডে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

স্কুলছাত্রী সানজিদা আক্তার ইভা হত্যা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মেহেদী হাসান পলাশ (২২) নামে আরো এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে পীরগাছা উপজেলার ছোট কল্যাণী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পলাশ ওই এলাকার মোক্তার ড্রাইভারের ছেলে। সোমবার দুপুরে তাকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। কাউনিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক এর আগে গ্রেফতার হওয়া প্রিন্স ও পলাশের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রেমের সর্ম্পক ছিন্ন হওয়ায় সায়েম, প্রিন্স ও পলাশ নামে ৩ যুবক গত ১৬ আগস্ট স্কুলছাত্রী সানজিদা আক্তার ইভাকে নিয়ে ঘুরতে বের হন। ওই রাতে কাউনিয়া উপজেলার হরিচরণ লস্কর গ্রামে রাস্তার পাশে ইভাকে কুপিয়ে ফেলে যান হত্যাকারীরা। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক ইভাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ইভার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

হত্যার মূলহোতা সায়েমকে বুধবার গ্রেফতার করে পুলিশ। সায়েম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে আরো দুইজনের জড়িত থাকার কথা বলেন। সায়েমের তথ্যের ভিত্তিতে শেখ মনিরুজ্জামান প্রিন্স নামে আরেক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরে রোববার রাতে হত্যার সঙ্গে জড়িত অপর যুবক পলাশকে গ্রেফতার করা হয়।

নিহত ইভা কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের গোড়াই গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার মেয়ে এবং পাশের পীরগাছা উপজেলার বড়দরগাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

রংপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম পলাশ বলেন, আসামি প্রিন্স ও পলাশের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার আরো কারণ জানা যাবে।

এর আগে, গত ১৬ আগস্ট দুপুরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সানজিদাকে নগরীর শাপলা সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে নিয়ে আসেন সায়েম। সেখানে সানজিদার নতুন প্রেম নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বেঁধে যায়। পরে সায়েম তার পূর্ব পরিচিত দুইজনের সাহায্যে কৌশলে সানজিদাকে মাহিগঞ্জে রেখে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর সায়েম সানজিদাকে মাহিগঞ্জ থেকে পীরগাছা আলী বাবা থিমপার্কে ঘুরতে নিয়ে যান। রাত হয়ে যাওয়ায় সানজিদা পার্ক থেকে বাড়ি ফিরে আসার জন্য সায়েমকে বারবার চাপ দিতে থাকেন।

এরপর তারা পার্ক থেকে কাউনিয়া-মধুপুর সড়কের একটি ফাঁকা জায়গায় আসলে সানজিদাকে একাধিক প্রেম নিয়ে জেরা করা হয়। এ সময় তাদের মাঝে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে সায়েমসহ তার অন্য দুই প্রেমিক ছুরি দিয়ে সানজিদাকে হত্যা করেন। এরপর সানজিদার লাশ মধুপুর রোডের পাশে ফেলে তারা সটকে পড়েন।

এদিকে ওইদিন রাতে উপজেলার হরিচরণ লস্করপাড়া এলাকায় এক কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ধারে পড়ে থাকার খবর পায় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশটি সানজিদার বলে শনাক্ত করে তার পরিবার। তার শরীরে ছুরিকাঘাতের ১৮টি চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ওই রাতেই মরদেহ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here