• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

ত্রিভুজ প্রেমের কারণে জীবন দিতে হলো সানজিদাকে: পুলিশ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের কাউনিয়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে সানজিদা আক্তার নামে দশম শ্রেণির ছাত্রী নিহতের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ত্রিভুজ প্রেমের বলি হতে হয়েছে সানজিদাকে।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকালে রংপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) মো. আশরাফুল আলম পলাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য সানজিদার ব্যাগে পাওয়া একটি খাতা ও সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রেমিক মো. নাহিদুল ইসলাম ওরফে সায়েমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সায়েম মাহিগঞ্জ থানার তালুক উপাশু গ্রামের মো. নূর হোসেন মিলিটারির ছেলে।

তিনি জানান, আদালতের জবানবন্দী অনুযায়ী জানা যায়, সায়েমের সঙ্গে তিন বছর আগে সানজিদার পরিচয় ও সম্পর্ক হয়। কিছুদিন আগে তাদের সম্পর্ক ভেঙে গেলেও যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। এরই মাঝে গত ১৬ আগস্ট দুপুরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সায়েম সানজিদাকে নিয়ে রংপুরে শাপলা সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যায়। সেখানে সানজিদার নতুন প্রেম নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক লাগলে সানজিদা সেখান থেকে চলে যায়।

পরে সায়েম তার পূর্ব পরিচিত আরও দুইজনের সাহায্যে কৌশলে সানজিদাকে মাহিগঞ্জে রেখে পরে সেখানে আবার মিলিত হয়। তারপর তারা পীরগাছা আলীবাবা থিম পার্কে ঘুরতে যায় কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় সানজিদা ফিরে আসার জন্য চাপ দেয়। এরপর মধুপুর রোডের একটি ফাকা জায়গায় নিয়ে সানজিদার একাধিক প্রেম নিয়ে চার্জ করে এবং তারা তিনজন মিলে উপর্যুপরি ছুরিকাহত করে হত্যা করে। এরপর তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

আশরাফুল আলম জানান, গ্রেপ্তারকৃত সায়েম হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে আরও একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত।

Place your advertisement here
Place your advertisement here