• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বদরগঞ্জে স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের বদরগঞ্জে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ গাছে ঝুঁলিয়ে রাখার দায়ে স্বামী মমতাজ ওরফে সুলতানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক তারিখ হোসেন এ রায় প্রদান করেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে সুমাইয়া আখতার শারমিনের সঙ্গে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার খাগড়াবন্দ মধ্যপাড়া গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে মমতাজ ওরফে সুলতানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা দুজন বিয়ে করেন। বিয়ের পর এক বছর সুমাইয়া তার বাবার বাড়িতে বসবাস করে। এরই মাঝে স্বামী মমতাজ পার্শ্ববর্তী গুচ্ছগ্রামের অন্য এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

বিষয়টি জানাজানি হলে সুমাইয়ার সঙ্গে তার স্বামী মমতাজের ঝগড়া হয়। ২০১৯ সালের ৪ জুন স্বামী মমতাজ মোবাইল ফোনে তার স্ত্রী সুমাইয়াকে ডেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী কুতুবপুর বালুয়াপাড়া গ্রামের যমুনেশ্বরী নদীর তীরে নিয়ে যান। সেখানে জনৈক এক ব্যক্তির আখখেতে নিয়ে গিয়ে সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ডুমুর গাছের ডালে ঝুঁলিয়ে রেখে চলে যান।

বদরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে নিহত সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ স্বামী মমতাজ ওরফে সুলতানকে গ্রেপ্তার করে।

আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আসামি মমতাজ ওরফে সুলতানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসিট দাখিল করে। মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক আসামি মমতাজ ওরফে সুলতানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় প্রদান করেন। সেই সঙ্গে দশ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

সরকারপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি নয়নুর রহমান টফি রায়ের বিয়িটি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। রায়ে আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এতে তারা সস্তুষ্টি প্রকাশ করছি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল হোসেন বলেন, আসামি ন্যায্য বিচার পায়নি। আমরা রায়ের কপি হাতে পেলে সবকিছু বিশ্লেষণ করে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

Place your advertisement here
Place your advertisement here