• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

দম আটকে আসতেই ভয়ে চিৎকার দেন আজগার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ মে ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল ভবনের লিফটে আটকা পড়ে রোগীর এক স্বজন। প্রায় ৪০ মিনিট লিফটে আটকে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আজগার আলী নামের ওই ব্যক্তি।

মঙ্গলবার (১০ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রমেক হাসপাতালের চতুর্থ তলায় লিফট দিয়ে উঠতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আজগার আলী (৪৫) নীলফামারী জেলার ইটাখালা ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২৬ দিন ধরে হাসপাতালে রয়েছেন। সেখানকার পঞ্চম তলার শিশু ওয়ার্ডে তার ভাতিজা (ছোট ভাইয়ের সন্তান) চিকিৎসাধীন আছেন।

আজগার আলী জানান, হাসপাতালের একজন নার্সসহ লিফটে করে নিচতলা থেকে তিনি ওপরের দিকে উঠছিলেন। ওই নার্স চতুর্থ তলায় নেমে যাওয়ার পর লিফটের দরজা বন্ধ হয়। এরপর পঞ্চম তলায় গিয়ে আর কোনোভাবেই লিফটের দরজা খুলতে পারছিলেন না। পরে আবার তিনি ওপর থেকে নিচের দিকে নামার চেষ্টা করতে থাকেন। এর মধ্যে তৃতীয় তলা থেকে চতুর্থ তলায় লিফট ওঠানামা করলেও দরজা খুলছে না।

এভাবে চলে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট। পরে অক্সিজেন-সংকট দেখা দেয়। এতে লিফটের ভেতরে একা থেকে ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি ভয়ে চিৎকার শুরু করেন। পরে বাইরে থেকে একজন তার চিৎকার শুনে লিফটের দরজা খোলার ব্যবস্থা করেন।

বর্তমানে সুস্থতা বোধ করছেন জানিয়ে আজগার আলী বলেন, আমি ভয়ে চিৎকার করছিলাম। যদি বাইরে থেকে কেউ না শুনত, তাহলে আমি হয়তো আতঙ্কে মারা যেতাম। প্রায় ৪০ মিনিট পর হাসপাতালের একজন কর্মচারী এসে আমাকে দরজা খুলে বাইরে রেখে লিফট বন্ধ করে দিয়ে চলে যান। 

এ ঘটনার জন্য হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা লোকজনের অবহেলাকে দায়ী করেন ভুক্তভোগী আজগার। হাসপাতালের পরিচালককে লিখিতভাবে অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি।

ঘটনার সময় চতুর্থ তলায় সিঁড়ির পাশে বসে ছিলেন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বজন রাজীব নামের এক যুবক। তিনি লিফটে আটকা পড়া ব্যক্তিকে উদ্ধারে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। তখনো হাসপাতালের কেউ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। 

রাজীব বলেন, হঠাৎ লিফটের ভেতর থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুনতে পাই। পরে আমি আটকে পড়া ব্যক্তিকে উদ্ধারে প্রথমে একজন নার্স ও একজন লিফট অপারেটরকে গিয়ে বিষয়টি বলেছি। কিন্তু তারা আমার কথায় কোনো গুরুত্ব দেননি। পরে বাধ্য হয়ে ৯৯৯-এ ফোন করি। পরে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই পঞ্চম তলা থেকে একজন কর্মচারী এসে দ্রুত লিফটের দরজা খুলে লোকটিকে বাইরে রেখে চলে যান।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এ রকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এর ৮ থেকে ১০ দিন আগে দুজন নার্সসহ আমি নিজেই তৃতীয় তলায় লিফটে আটকা পড়েছিলাম। নার্সদের কান্নাকাটি দেখে আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। পরে তাদেরও এভাবে উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রেজাউল করিম বলেন, লিফটগুলো পুরোনো হওয়ায় এ রকম সমস্যা হচ্ছে। শিগগিরই ত্রুটিপূর্ণ লিফটগুলো মেরামত করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here