• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

মিঠাপুকুরে কৃষিকাজে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাতকুয়া   

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

মিঠাপুকুরে কৃষি সেচে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাতকুয়া। কৃষকদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প সেচসুবিধার লক্ষ্যে পাতকুয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃ‌র্পক্ষ (বিএমডিএ)। পাতকুয়ার মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচ দেওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে কৃষদের মধ্যে।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মিঠাপুকুর উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বর্তমানে আটটি পাতকুয়ার পানি সবজিখেতে ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন রয়েছে আরো দুটি। পাতকুয়ার পানি দিয়ে ২০০ থেকে ২৫০ একর জমিতে সবজি চাষ করা হচ্ছে। উপজেলার রাণীপুকুর ইউনিয়নের মাদারপুর, লতিবপুর ইউনিয়নের জানকীনাথপুর, ভাংনী ইউনিয়নের চাঁদপুর, চেংমারী ইউনিয়নের আবিরের পাড়া, রামেশ্বরপুর, গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর ও ময়েনপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের ১৬০ জন চাষি পাতকুয়ার পানি সেচ দিয়ে সবজি চাষ করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লতিবপুর ইউনিয়নের জানকীনাথপুর গ্রামে পাতকুয়ার পানি দিয়ে সবজি চাষ করছেন কৃষক সাদেকুল ইসলাম। তার জমিতেই পাতকুয়াটি খনন করা হয়েছে। তিনি ২৩ শতক জমিতে শিম ও ২০ শতক জমিতে রসুন চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে খেতে দুইবার সেচ দিয়েছেন। এতে কোনো টাকা খরচ করতে হয়নি। একই এলাকার শহিদুল ইসলাম ভুট্টা চাষ করেছেন। তিনিও পাতকুয়ার পানি দিয়ে খেতে সেচ দিচ্ছেন। এর আগে ফুলকপি, আলু, বেগুন, টমেটোসহ প্রায় সব ধরনের সবজি চাষেই ব্যবহার করা হয়েছে পাতকুয়ার পানি। 

বিএমডিএ মিঠাপুকুর জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রায়হান হাবীব জানান, প্রতিটি পাতকুয়া ১২০ ফুট গভীর করা হয়েছে। কুয়ার ৬২ ফুট নিচে সাবমারসিবল পাম্প বসানো হয়েছে। কুয়ায় ৮৪টি আরসিসি রিং পাত আছে। একটি পাতকুয়া চলে ৫ কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন আটটি সৌর প্যানেল দিয়ে। সৌরবিদ্যুৎ পরিচালিত পাম্পটির পানি সংরক্ষণে একটি টাওয়ারের ওপর ৩ হাজার লিটারের ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। একটি পাতকুয়া ২৫ বিঘা জমি সেচের জন্য ডিজাইন করা হলেও ব্যাপক চাহিদা থাকায় অধিক জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে।

রংপুর বিভাগের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, এক সময় পাতকুয়ার পানিই ছিল ভরসা। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে পাতকুয়া ছিল। পানকরাসহ সব ধরনের কাজে ব্যবহার করা হতো পাতকুয়ার পানি। কারণ পাতকুয়ায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা যায়। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে নতুন ধরনের পাতকুয়া উদ্ভাবন করেছেন। পাতকুয়া খননের জন্য চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পাতকুয়ার সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
কে/

Place your advertisement here
Place your advertisement here