• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু: আঘাতের চিহ্ন নেই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের হারাগাছে আটকের পর পুলিশের নির্যাতনে তাজুল ইসলামের (৫৫) মৃত্যুর অভিযোগ উঠলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা উল্লেখ নেই। প্রতিবেদনে তার স্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, মাদকসেবী তাজুল ইসলামকে পুলিশ আটক করলেও কোন নির্যাতন করেনি। ঘটনাস্থলে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে তাজুলের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলাম মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছেন। আবু মারুফ হোসেন বলেন, 'পুলিশি নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়নি বলে ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শীরা সাক্ষ্য দিয়েছেন। কিন্তু কতিপয় লোকজন পুলিশের নির্যাতনে তাজুলের মৃত্যুর হয়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে থানা ঘেরাও করে হামলা ও ভাঙচুর করেছে।'

স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় রংপুরের হারাগাছ থানার পুলিশ নতুনবাজার বছি বানিয়ার তেপতিতে অভিযান চালায়। এ সময় হারাগাছের দালালহাট নয়াটারী এলাকার মৃত শওকত আলীর ছেলে তাজুল ইসলামকে মাদক সেবনের অভিযোগে আটক করে পুলিশ। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশের নির্যাতনে তাজুলের মৃত্যুর অভিযোগ তোলে স্থানীয় লোকজন।

খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে হারাগাছ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ থানা ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় ভবনের সামনে রাখা পুলিশ ভ্যান ও মোটরসাইকেল। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে ঘটনার পর থেকে পুলিশ তাজুল ইসলামকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল।

পুলিশ জানায়, থানা ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধাসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির একটি মামলা হয়েছে। হারাগাছ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। তবে এ মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

মাদক রাখার অপরাধে নিহত তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হারাগাছ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে অপর একটি মামলা করেছেন। অন্যদিকে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই মর্তুজা রহমান আবু বাদী হয়ে সোমবার রাতে রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করেছেন।

গত বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি রুল ও আদেশ দেন। আদেশে তাজুল ইসলামকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত ৪ সদস্যের কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও অপমৃত্যুর মামলার অনুলিপি আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here