• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বদরগঞ্জে বিয়ের দিনে ছুরিকাঘাতে আহত সেই মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ আগস্ট ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিয়ের দিন সকালে বখাটে ছরিকাঘাতে গুরুতর আহত মাদরাসার ছাত্রী তারমিনা আক্তার ওরফে ফুলতি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। টানা ৪দিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে মারা যান। 

গত ২৮ জুলাই প্রেমের প্রস্তাবে রজি না হওয়ায় ওই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে শাখাওয়াত হোসেন নামে ওই যুবক। শাখাওয়াত ফুলতির বড় বোনের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়তার সূত্রে পূর্বপরিচিত ছিল। বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের সাজানোগ্রামে।

ওই দিনের পর থেকে অভিযুক্ত শাখাওয়াত পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে মেয়ের পরিবার। তারমিনা আক্তার ওরফে ফুলতি লোহানীপাড়া দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে ওই এলাকার তোয়াব আলীর মেয়ে।

গত বুধবার তার বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা শুনে ক্ষুব্ধ শাখাওয়াত ওই দিন ভোরে মিঠাপুকুর থেকে বদরগঞ্জে গিয়ে ফুলতিদের বাড়িতে তাকে ঘুম থেকে থেকে ডেকে তুলে ছুরিকাঘাত করে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায় বলে ফুলতির পরিবারের দসস্যরা অভিযোগ করেন।

লোহানীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাকিব হাসান ডলু শাহ জানান, তারমিনা আক্তার ফুলতির বড় বোন তাহমিনার বিয়ে হয় মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়বালা এলাকায়। আত্মীয়তার সম্পর্কে ওই এলাকার মোনায়েম হোসেনের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন । প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় করলে শাখাওয়াত হোসেন তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। গত ২৮ জুলাই ফুলতির সঙ্গে অন্য ছেলের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। এ ঘটনা জানতে পেয়ে শাখাওয়াত হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি থেকে ফুলতিদের গ্রামের বাড়িতে যান সাখাওয়াত। এ সময় বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে ছিল। সাখাওয়াত ঘুম থেকে ফুলতিকে ডেকে নিয়ে ছুরি দিয়ে দুই পা, মুখ, কপাল ও পাঁজরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।

এ সময় ফুলতি চিৎকার করলে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। সাখাওয়াতকে ধাওয়া দিলে সে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। পরে ফুলতিকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের (ইনচার্জ) সিনিয়র স্টাফ নার্স রেবেকা সুলতানা জানান, ফুলতিকে বুধবার ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চারদিন ধরে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রচুর রক্তক্ষরণ ও মারাত্মক জখম হওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ২৯ জুলাই মেয়েটির মামা নূর আলম বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার একটি মামলা করেছেন। মামলাটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here