• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

স্মৃতির ক্যানভাসে মাটির ঘর 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

স্মৃতির ক্যানভাসে প্রায়ই চলে আসে মাটির ঘরের চিত্র। আজ যেন সবই স্মৃতি। এক সময় রংপুরের বদরগঞ্জে গ্রামীণ ঐতিহ্যের প্রতীক মাটির ঘর দেখা যেত। একটা সময়ে গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পরিবারগুলো অনেকটা শখ আর পরিবারের সামাজিক মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করতে মাটি দিয়ে নির্মাণ করতেন মাটির ঘর ও দোতলা বাড়ি।

জানা গেছে, দোতলাবিশিষ্ট বাড়ির ওপরের তলায় অনেকে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। আর নিচতলায় থাকত কাচারিঘর। আর সেখানে অতিথিশালায় চলত গ্রামের মানুষদের নানাবিধ সমস্যার সমাধানসহ বিচারিক কাজ। উপজেলার প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে মাটির দোতলা বাড়ি তৈরির নেপথ্যে কয়েকটি কারণ জানা যায়।

তা হলো—সামাজিক মর্যাদা বাড়ানো, জীবজন্তুর ভয়, প্রকৃতির নির্ভেজাল হাওয়ায় বসবাস করা আর শখের বশবর্তী হওয়া।

সরেজমিনে অনেক খোঁজাখুঁজির পর বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউপির রামকৃষ্ণপুর বানিয়াপাড়া নামক গ্রামে গিয়ে চোখে পড়ে মাটির দোতলা বাড়ি। কাছে গিয়ে দেখা যায়, পরিত্যক্ত ও ভঙ্গুরদশা নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। আর ঐ বাড়িটি যেন বলছে, আধুনিক এ যুগে আমার কদর না থাকলেও এক সময় আমিই ছিলাম সবার সেরা।

কথা হয় মাটির দোতলা বাড়ির উত্তরসূরি অ্যাডভোকেট আরমানুজ্জামান সরকার জামান জানান, আমার দাদার পিতা মরহুম ফারাজ উদ্দিন সরকার এই মাটির দোতলা বাড়িটি তৈরি করেছিলেন অনেকটা শখের বশে, কমপক্ষে ৯০ বছর আগে। তিনি জানান, গরমের দিনে মাটির ঘরে বসবাস অত্যন্ত আরামদায়ক। বাতাসের জন্য ইলেকট্রিক ফ্যানের কোনো প্রয়োজন নেই। এ বাড়িতে এখন আর কেউ থাকেন না।

বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন প্রামাণিক (৮৯) জানান, আগে আমাদের এ অঞ্চলটি বনজঙ্গলে ঘেরা ছিল। মানুষ অনেকটা জীবজন্তুর ভয়ে মাটির দোতলা বাড়ি তৈরি করে বাস করত। আমি ছোটবেলা থেকে আমাদের অঞ্চলে অনেক মাটির দোতলা ঘর দেখেছি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইট-সুড়কির সহজলভ্যতায় পুরোনো সেই মাটির দোতলা ঘর ভেঙে দালানবাড়ি তৈরি করা হচ্ছে।

বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বিমলেন্দু সরকার জানান, ছোটবেলা থেকে আমাদের এ অঞ্চলে অনেক মাটির দোতলা বাড়ি দেখেছি। কিন্তু এখন আর চোখে পড়ে না। আমাদের এ গ্রামীণ ঐতিহ্যকে তো আমাদেরই সংরক্ষণ করতে হবে। অন্যথায় নতুন প্রজন্ম, মাটি দিয়ে তৈরি দোতলা বাড়ি যে এক সময় নির্মিত হতো, তা তারা জানতেই পারবে না।

Place your advertisement here
Place your advertisement here