• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

যত্নে থাকুক পছন্দের বই

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

 
গত মাসেই শেষ হলো বই মেলা। শুধু পড়াই নয় নিজের ঘরে শেলফ জুড়ে পছন্দের বই সংগ্রহে রাখতে যারা ভালোবাসেন মেলাকে ঘিরে কিনে ফেলেছেন প্রচুর বই। কিন্তু এত বই সংগ্রহ করে যদি ঠিকঠাক যত্নই না নেয়া হয় তাহলে টাকা গুলোই জলে ঢালা। বই যত্ন না করার কারণে বেশিরভাগ সময়ই বই এলোমেলো থাকে, ধুলো জমে বা নষ্ট হয়ে যায়। 

চলুন জেনে নেই পছন্দের বইগুলো যত্নে রাখার কিছু উপায়: 

বইপড়ুয়াদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের কাছে অনেক বই তো আছে, কিন্তু গুছিয়ে রাখার জন্য শেলফ নেই। যার কারণে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় বই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। এতে ঘর দেখতে যেমন অগোছালো লাগে, তেমনই বইয়েরও যত্ন হয় না। তাই বই ভালো রাখার জন্য সবার আগে একটি বুকশেলফ প্রয়োজন।

বই সংরক্ষণের বিষয়টি অনেকটা দামি পেইন্টিং সংরক্ষণের মতোই। কোন পরিবেশে বই রাখছেন তার উপর নির্ভর করছে আপনার বই ঠিক কতটুকু ভালো থাকবে। সরাসরি সূর্যের আলো এসে পড়ে এমন জায়গা, আবার একদম অন্ধকার জায়গাতেও বই না রেখে আলো বাতাসযুক্ত শুকনো স্থানেই রাখা উচিত। স্যাঁতস্যাঁতে দেয়ালের কাছেও কখনও বই রাখা উচিত নয়। কারণ কাগজ খুব দ্রুত পানি শোষণ করে নেয়। এতে বই দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই কড়া রোদ বা স্যাঁতস্যাঁতে ভাব আছে এমন দুই জায়গা থেকেই বই দূরে রাখা ভালো। অনেকের বুকশেলফে কাঁচের দরজা থাকে। এতে বই ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেলেও পর্যাপ্ত বাতাসের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। তাই বুকশেলফ থেকে মাঝে মাঝে বই বের করে রোদে রাখতে হবে।

বই কেনার পর তাতে মলাট লাগিয়ে নিলে নতুন বই অনেকদিন ভালো থাকে। যে কোনো পেপার দিয়েই মলাট করা যায়। তবে বইয়ের প্রচ্ছদ যেন দেখা যায় সেজন্য ট্রান্সপারেন্ট পেপার ইউজ করা যায়। মলাট করার পর বই ধরার সময় হাত যেন নোংরা বা ভেজা না থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

অনেকেই বই পড়ার মাঝে বিরতি দিয়ে পৃষ্ঠা ভাঁজ করে রাখেন অথবা পেপার ক্লিপ ইউজ করেন। দুটোই বইয়ের জন্য খারাপ। পেপার ক্লিপে জং ধরে পৃষ্ঠা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর ভাঁজ করলে ভেঙে যেতে পারে। তাই বইয়ের জন্য কাগজের বুকমার্ক সবচেয়ে ভালো। চাইলে পালক, রেশমের ফিতা বা শার্টিনের কাপড়ও বুকমার্ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

সঠিকভাবে যত্ন না নিলে বইয়ে পোকা ধরে, বইয়ের পৃষ্ঠায় দুর্গন্ধ হয়, ধুলো জমে। এসব সমস্যা কমানোর জন্য বইয়ে জমে থাকা ধুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। বইয়ের ভিতর নিমপাতা, তেজপাতা বা ল্যাভেন্ডার ফুল রাখতে পারেন। বইয়ের তাকে কর্পূর বা ন্যাপথলিন রাখুন। এগুলোর গন্ধে বইয়ে পোকা ধরবে না। অনেকে বইয়ের ভেতর ফুল বা পাতা রাখেন। এতে কিন্তু পৃষ্ঠার রঙ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফুল বা পাতা সংরক্ষণ করতে চাইলে সেগুলো আলাদাভাবে ডায়েরিতে রাখতে পারেন।

অনেকে খাওয়ার সময় বই পড়েন। কিন্তু এটা মোটেও করা উচিত নয়। কারণ বইয়ে খাবার লেগে পরবর্তীতে পোকা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

অনেকেই বই ভাঁজ করে বা এক হাতে বই পড়ার চেষ্টা করেন। দুটো উপায়ের কোনোটাই বই ভালো রাখার জন্য ভালো নয়। বই অবশ্যই দুই হাত দিয়ে ধরে পড়ুন। সম্ভব হলে কুশনের উপর রেখে বই পড়ুন। এতে মোটা বা ভারী বই হলে ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।

বই কেনা হলেও সেটা হয়তো অনেকদিন পড়া হচ্ছে না। এমন হলে অন্তত চেষ্টা করুন বইয়ের ধুলো ঝেড়ে রাখতে। মাঝে মাঝে বইগুলোকে বের করে মুছে রাখুন, রোদে দিন। বইয়ের ভেতর নিমপাতা বা বুকশেলফে ন্যাপথলিন রেখে দিন। এক কথায়, দীর্ঘদিন একইভাবে বই ফেলে রাখবেন না। বইয়ের সাথে সাথে বুকশেলফও ক্লিন রাখতে হবে।

ধার দিয়ে বই ফেরত পান না এমনটি প্রায়ই হয়। আবার ফেরত পেলেও দেখা যায় বইয়ের অবস্থা আগের মতো থাকে না। তাই যাকে বই ধার দিচ্ছেন তাকে অবশ্যই বইয়ের যত্ন নেয়ার ব্যাপারে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিন। আর দেয়ার সময় নাম ও তারিখ টুকে রাখুন। যেন সময়মতো ফেরত নেওয়া যায়। বই দিতে দেরি হলে নিজেই যোগাযোগ করুন।

বইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে গেলে সাময়িকভাবে আঠা দিয়েই লাগিয়ে নেয়াটা সহজ মনে হয়। তবে লং টার্মের জন্য এটা উচিত নয়। এছাড়া আঠার সাথে পোকা আটকে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। অনেকে স্কচটেপ দিয়ে বইয়ের পৃষ্ঠা বা মলাট ঠিক করার চেষ্টা করেন। সেটাও উচিত নয়। বইয়ের বাইন্ডিং ছুটে গেলে দক্ষ কারিগরের কাছে নিয়ে সেলাই করে নেয়াই ভালো।

Place your advertisement here
Place your advertisement here