• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

যে বয়সে বিয়ে করলে দাম্পত্য হবে রোমান্সে টইটুম্বুর

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

বিয়ে দুইজন মানুষকে আশ্চর্য এক বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখে। একজন আরেকজনের পরিপূরক হয়ে ওঠে। সুতরাং এ কথা বলা যায় যে, জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হচ্ছে বিয়ে। কারণ, জীবনে প্রথমবার একজন মানুষের সঙ্গে আজীবন থাকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই আমরা এই বিয়ের মতো সামাজিক বন্ধনের মধ্যে দিয়েই।

বলা হয়ে থাকে, বিয়ের সিদ্ধান্ত যতটা গভীর ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে সেই মানুষটি সঙ্গী হিসেবে সঠিক কিনা, তা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লেগে যায়। কিন্তু আমরা কি জানি কোন বয়সে বিয়ে দাম্পত্য জীবনকে সবথেকে সফল করে তুলবে?

>> একথা মানতেই হয় যে, বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ায় কোনো তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। কিন্তু একটা বয়সের পর অভিভাবকরা বিয়ের জন্য় চাপ দিতে থাকেন। ছেলেদের ক্ষেত্রে এই চাপ খানিকটা কম ও মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সামাজিক চাপ কিঞ্চিৎ বেশি হয়ে থাকে সাধারণত।

>> ২৫ পেরোলেই বিয়ের চাপ আসতে থাকে। শুধুই অভিভাবক নয়, বন্ধু-বান্ধব, এমনকি পাড়া-প্রতিবেশীরাও বিয়ের কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকেন। কিন্তু বিয়ের সিদ্ধান্ত একান্তই ব্যক্তিগত। কেউ চাকরি পেয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কেউ ৩০ পেরোলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কেউ কেউ সারাজীবন বিয়ে নাও করতে পারেন। বস্তুত বিয়ের জন্য় কোনো সঠিক বয়স নেই। তা পুরুষের ক্ষেত্রেই হোক বা নারীর। তিনি নিজে মানসিকভাবে প্রস্তত থাকলেই একমাত্র বিয়ে করা উচিত। আর এই প্রস্তুত বয়সটি প্রত্যেকের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। কেউ ৩০-এর পরেও বিয়ে করতে পারেন বা আগেও বিয়ে করতে পারেন।

>> তারপরেও একটি নির্দিষ্ট বয়সে বিয়ে করা সামাজিক চাপ ছাড়া আর কিছুই না এখানে। তাই বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের কথা ভাবতে শুরু করেন সবাই। মানসিকভাবে প্রস্তুত হলে এবং এই কথা জানলে যে, একটা সংসারের দায়িত্ব নিতে পারেন, তাহলেই একমাত্র বিয়ে করা উচিত। বয়সের সঙ্গে সেই ম্যাচুরিটির কোনো সম্পর্ক নেই।

>> প্রায়ই অনেকে যুক্তি দেয় বয়স বাড়লে বিয়ে করলে তা খুব একটা উপযোগী নয়। ৩০ বা ৩০ বছর বয়স অতিক্রম করার পর বিবাহিত জীবনে কি সত্যিই অসুবিধা আছে? এই বয়সে সঠিক জীবনসঙ্গী বেছে নিতে সক্ষম হন। ৩০ বছর বয়সের মধ্যে, একজন ব্যক্তি কী ধরনের জীবন সঙ্গী চান সে সম্পর্কেও সে বুঝতে পারে। এই বয়সে সঠিক জীবনসঙ্গী বেছে নিতে সক্ষম হন।

>> প্রায় ২৫ বছর বয়সে একজন ব্যক্তি পড়াশোনা শেষ করে কাজ শুরু করেন। চাকরির পর ব্যক্তির মধ্যে একটি আত্মনির্ভরশীলতা আসে এবং তার আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়। এই জিনিসটি বিয়ের পরে তার জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে বলেও মনে করা হয়।

>>বিয়ে করলে অনেক দায়িত্ব নিতে হয়। বিয়ে করলেন অথচ স্ত্রী এবং পরিবারের দায়িত্ব নিতে শিখলেন না, তা হয় না। তাই অনেকেই মনে করেন, ২২ কি ২৩ হলে সেই বয়সে দায়িত্ব নেয়ার ক্ষমতা কম থাকে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই ভাবা হয়, বয়স যদি ৪০ পেরোয়, আপনার বয়স বিয়ের জন্য় একদম সঠিক। তবে শুধুমাত্র তখনই যদি আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন। আপনি দায়িত্ব নেয়ার জন্য় প্রস্তুত থাকেন।

সূত্র: নিউজ বাংলা ১৮

Place your advertisement here
Place your advertisement here