• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

অন্তঃসত্ত্বা রোহিঙ্গা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি: সায়রা

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রসূন রহমান পরিচালিত ‘জন্মভূমি (দ্য বার্থ ল্যান্ড)’ ছবিটি আগামীকাল শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে। বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ছবিটিতে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সায়রা আক্তার জাহান। এর মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে অভিষেক হচ্ছে তার।

সিনেমাটির নানা বিষয় নিয়ে আমাদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছেন সায়রা আক্তার জাহান। সেই কথোপকথনের অংশ বিশেষ তুলে ধরা হলো-

আমাদের প্রতিনিধি: 'জন্মভূমি' সিনেমাটিতে যুক্ত হলেন কিভাবে?  

সায়রা আক্তার জাহান: ছবিটির নির্মাতা প্রসূন রহমান ভাইয়া প্রথমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর স্ক্রিপ্ট দেয় গল্পটা দেখার জন্য, পরে বলে এ রকম একটি চরিত্রে অভিনয় করতে পারবো কিনা? আমি একটু নার্ভাস ছিলাম পারবো কি পারবো-না। রোহিঙ্গাদের ভাষার নিয়ে একটা সমস্যা ছিল। তিনি (প্রসূন রহমান) মনে করেছিলেন চিটাগাংয়ের মানুষ আমি, হয়তো রোহিঙ্গাদের ভাষাটা রপ্ত করতে সুবিধা হবে। কিন্তু আঞ্চলিক ভাষা তো তেমন বলা হয় না, সেজন্য একটু সমস্যা ছিল। কিন্তু শুটিং শুরু করার আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলেছি, ওদের জীবন-যাপন সম্পর্কে জেনেছি। এরপর সাহস করে শুটিং শুরু করেছি।

আমাদের প্রতিনিধি: জন্মভূমি সিনেমার গল্পে রোহিঙ্গাদের কোন কোন বিষয় উঠে এসেছে?

সায়রা আক্তার জাহান: জন্মভূমি চলচ্চিত্রটির গল্প গড়ে উঠেছে কক্সবাজার জেলার কুতুপালংয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে। মিয়ানমার সরকার ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড চালালে জীবন বাঁচানোর জন্য প্রায় ৭ লাখ শরণার্থী নিজেদের জন্মভূমি ছেড়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে প্রায় ৬৫ হাজার নারী গর্ভবতী ছিলেন এবং অনেকে মিয়ানমার আর্মি দ্বারা ধর্ষিত হন। বাংলাদেশ সরকার তাদের আশ্রয়ের জন্য কুতুপালংয়ে শরণার্থী শিবির তৈরি করে দেয়। তাদের এখন একটাই স্বপ্ন- নিজেদের জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়া।

 

1.অন্তঃসত্ত্বা রোহিঙ্গা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি: সায়রা

আমাদের প্রতিনিধি: সিনেমাটিতে আপনি কোন চরিত্রে অভিনয় করেছেন?

সায়রা আক্তার জাহান: এখানে আমি সোফিয়া নামের একজন অন্তঃসত্ত্বা রোহিঙ্গা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। দেখা যাবে সোফিয়া তার সন্তানকে শরণার্থী শিবিরে জন্ম দিতে চান না। তিনি চান, যে কোনে উপায়ে নিজের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে ও নিজের জন্মভূমিতে নিজের সন্তানকে জন্ম দিতে। শরণার্থী শিবিরের এই জনাকীর্ণ আশ্রয়ে নিজের সন্তানকে বড় করে তোলার মাঝে সে আনন্দের কোনো ভাবনা খুঁজে পায় না।

আমাদের প্রতিনিধি: এ রকম চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?

সায়রা আক্তার জাহান: প্রথম সিনেমা হিসেবে অভিজ্ঞতা অবশ্যই অনেক ভালো। আমি সিনেমাটির চরিত্রটি নিয়ে সন্তুষ্ট। এ রকম একটা সংকটের গল্পে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে কাজ করা, ওদের ভাষায় কথা বলা, ওদের চরিত্র কপি করতে হয়েছে। শুটিংয়ের সময় মনে হয়েছে, আমি যেন ওদেরই একজন। আমার সঙ্গে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান ভাইয়া। তিনিও আমাকে হেল্প করেছেন। আর প্রসূন ভাইয়ার অভিনয়টা পুরোপুরো ফুটিয়ে তোলার জন্য চেষ্টা করেছেন। সব মিলিয়ে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা ছিল পুরো জার্নিটা।

 

2.অন্তঃসত্ত্বা রোহিঙ্গা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি: সায়রা

আমাদের প্রতিনিধি: প্রথম সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, প্রত্যাশা কেমন?

সায়রা আক্তার জাহান: অনেক প্রত্যাশা নিয়ে কখনো কিছু করিনি। ভালো গল্প নিয়ে মানুষকে সিনেমাটির মাধ্যমে একটি ম্যাসেজ দিতে যাচ্ছি। সেই জায়গা থেকে প্রত্যাশা আছে মানুষ ছবিটি দেখুক আর মন্তব্য করুক। সেটা হোক নেগেটিভ বা পজেটিভ। যদিও শুরুটা হচ্ছে স্বল্প পরিসরে। সামনে হয়তো হল বাড়বে, চাইবো ভালো গল্পের ছবিটি সবার মাঝে ছড়িয়ে যাক।

আমাদের প্রতিনিধি: হলে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে সিনেমাটি দেখবেন কিনা?

সায়রা আক্তার জাহান: ক্যারিয়ারে প্রথম ছবি মুক্তি পাচ্ছে। একদিকে যেমন আনন্দ কাজ করছে তেমনি ভয়ও কাজ করছে। দর্শক সিনেমাটিকে কিভাবে নিবে। আর মুক্তির প্রথম দিনই সিনেপ্লেক্স- এ দর্শকদের সঙ্গে সিনেমাটি দেখবো। আর প্রিমিয়ারেও দর্শকদের সঙ্গে সিনেমাটি দেখা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here