• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

কিডনি রোগের ঝুঁকিগুলো

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

ডায়াবেটিসের মতো কিডনি রোগ হচ্ছে একটি নীরব ঘাতক। যাদের এ দুটোর কোনো একটি স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় তাদের যাতনার আর শেষ নেই। 

সমীক্ষায় দেখা গেছে দেশে দুই কোটির বেশি মানুষ কিডনি রোগে ভুগছেন। তাদের মধ্যে বছরে কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পড়ছে ৪০ হাজার মানুষের। এ ছাড়া আকস্মিক কিডনি বিকলের শিকার হচ্ছে আরো ১৫-২০ হাজার মানুষ। কিডনি বিকল এসব রোগীর বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হলো কিডনি প্রতিস্থাপন অথবা কিডনি ডায়ালাইসিস।

এমন তথ্য জানিয়ে দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, দেশে ব্রেন ডেথ রোগীদের কিডনিদান ও আত্মীয়স্বজনের থেকে কিডনি সংগ্রহের পরিমাণ খুবই সামান্য। এমনকি কিডনি প্রতিস্থাপন ব্যবস্থাও দেশে খুবই অপ্রতুল ও ব্যয়বহুল। এমন অবস্থায় বেঁচে থাকতে এসব কিডনি বিকল রোগীর শেষ ভরসা হয়ে দাঁড়ায় কিডনি ডায়ালাইসিস। কিন্তু দেশে কিডনি ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থাও অপ্রতুল ও ব্যয়বহুল হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ডায়ালাইসিসও করাতে পারেন না এসব রোগী।

কিডনি রোগের ঝুঁকিগুলো

কিডনির বিভিন্ন ধরণের রোগ রয়েছে যেমন কিডনিতে আঘাত, ক্রনিক কিডনি রোগ, রেনাল স্টোনস, নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম, মূত্রনালীর সংক্রমণ, উত্তরাধিকারী/জন্মগত রোগ। নিয়মিত ধূমপানের আসক্তিযুক্ত ব্যক্তিরা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থুলত্বজনিত এবং কিডনির রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি।

প্রায়শই প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ দৃশ্যমান হয় না কারণ কিডনি অত্যন্ত অভিযোজিত। পরবর্তী পর্যায়ে, কিডনিতে ক্ষতি যখন অপরিবর্তনীয় হয়ে যায় তখন রোগীরাও বেশ কয়েকটি লক্ষণ অনুভব করেন যেমন -

১. গোড়ালি এবং পা ফোলা

২. ওজন হ্রাস

৩. প্রস্রাবে রক্ত

৪. বুকে ব্যথা বেড়ে যাওয়া

৫. ত্বকে চুলকানি

৬. প্রস্রাবের অসুবিধা

৭. পরিবর্তিত প্রস্রাবের ফ্রিকোয়েন্সি

যদি কেউ এমন কোনো লক্ষণ অনুভব করেন যা কিডনির রোগের ইঙ্গিত দেয় তবে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

কিডনি রোগের প্রতিকার

প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নিরাময়ে বেশ কয়েকটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা রয়েছে। সেগুলো হলো-

১. নিয়মিত অনুশীলন

২. লবণের পরিমাণ কমিয়ে রক্তচাপ বজায় রাখা

৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ

৪. ধূমপান এড়িয়ে চলা

৫. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করা

Place your advertisement here
Place your advertisement here