• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

যেসব রোগ থাকলে পানি কম খাওয়া উচিত

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

কারা কোন পরিস্থিতিতে পানি মেপে পান করবেন? কোনো কোনো বিশেষ রোগের ক্ষেত্রে পানিপানেও নিয়ন্ত্রণ জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান আবশ্যক, এটা সবাই জানি। তাই বলে সবাই কিন্তু যত ইচ্ছা পানি পান করতে পারেন না। যদিও তেষ্টার সঙ্গে অনেক রোগ নিরাময়েও পানির বিকল্প কিছু নেই, অন্যদিকে কিছু অসুখে পানিও হয়ে যায় শত্রু। তখন কিন্তু পানিপানে কম করা উচিত। চলুন এমন কিছু রোগ সম্পর্কে জানা যাক।

>> কিছু অসুখ আছে যেগুলোর কারণে শরীর থেকে পানি বেরোতে পারে না, যার ফলে জমা পানি শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতিসাধন করে। এই রোগে আক্রান্তদের পানিপান কম করা উচিত। সেই রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম রেনাল ফেলিওর অর্থাৎ ক্রনিক কিডনির অসুখ, হার্ট ও লিভার ফেলিওর, ডাইলুশন‌্যাল হাইপো ন্যাট্রিমিয়া প্রভৃতি। হার্টের সমস্যা থাকলে হার্টের দ্বারা পানি ঠিকমতো পাম্প করা সম্ভব হয় না। তখন লাগামছাড়া পানি পান করলে হার্ট ফেলিওরের সম্ভাবনা বাড়ে।

>> ক্রনিক লিভারের সমস্যায় অনেকেরই পেটে পানি জমে পেট ফুলে যায়। অ্যাসাইটিস অর্থাৎ পেটের উপরিত্বক ও পেটের ভেতরের অঙ্গসমূহের মধ্যবর্তী স্থানে পানি জমে এক্ষেত্রে। সাধারণত লিভারে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এমন হয়। এছাড়া লিভার সিরোসিস হলেও রোগীদের পানি কম পান করা উচিত।

>> এছাড়া ডাইলুশন্যাল হাইপো ন্যাট্রিমিয়ার ক্ষেত্রে শরীরে অতিরিক্ত পানি জমে গিয়ে প্রথমেই সোডিয়ামের পরিমাণ নেমে যায়। তাই তাদের পানিপান মেপে করতে হবে।

>> কোনো অসুখ যার দ্বারা শরীরে পানি জমে সেগুলো থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পানিপান জরুরি। সাধারণত এই রোগীদের শরীর থেকে নির্গত হওয়া পানির পরিমাণ পান করা পানির থেকে কম হয় বলেই পানি জমে বিপত্তি ঘটে।

>> উপরিউক্ত এই রোগে আক্রান্তরা শরীর থেকে পর্যাপ্ত পানি বের করে দিতে পারে না। যার ফলে বিশেষ কিছু শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ পায়। মুখমণ্ডলে ফোলা ভাব, পা ফোলা, শোয়া অবস্থায় কাশি ও শ্বাসকষ্টের মাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি, কাশির সঙ্গে রক্ত বের হতে পারে। এছাড়া মাঝরাতে শোয়া অবস্থায় প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টের জন্য রোগীর অক্সিজেনের অভাব ও শ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়।

>> সঠিক সময়ে লক্ষণ সম্পর্কে সজাগ হতে না পারলে রোগীর শরীরে প্রচুর পানি জমে রক্তে পানির পরিমাণ বেড়ে যায় ও রোগী হার্ট ফেলিওরের সম্মুখীন হতে পারেন। যা বিপদ ডেকে আনে এবং মৃত্যু হতে পারে।

>> যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের সারাদিনে যতটা পরিমাণ প্রস্রাব নির্গত হয় ঠিক ততটা পরিমাণই পানিপান করা উচিত। সেই জন্য ২৪ ঘণ্টায় নির্গত প্রস্রাবের মাত্রা খেয়াল রাখা দরকার। যদি কোনো রোগীর কিডনি আগে থেকেই বিকল থাকে ও শরীরে পানি জমতে থাকে, সে অবশ্যই কম পানিপান করবে। 

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Place your advertisement here
Place your advertisement here