• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

গর্ভাবস্থায় যেভাবে শোওয়া সবচেয়ে ভালো

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

ভালো বললেই তো আর ভালো হয়ে যায় না! সন্তানের উপর শরীরের ভার রেখে শুলে যদি তার ক্ষতি হয়, এই ভয়েই তো আরো ঘুম আসে না অনেক মায়ের। কিন্তু না, সে ভয় নেই, আস্বস্ত করেছেন চিকিৎসকেরা৷ জানিয়েছেন, পেটের ভেতর এতভাবে সে সুরক্ষিত থাকে যে মায়ের যাতে কষ্ট হল না, তাতে বাচ্চার কষ্ট হয়ে গেল, এমন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

কিন্তু সমস্যা একটা আছে, পেট ও ব্রেস্ট যখন আকারে বাড়তে থাকে তখন এভাবে শোওয়া একটু কঠিন হয়ে যায়। তবে তারও সমাধান আছে। পেটের নিচে গোল ডো-নাট বা চাকার আকারের বালিশ রেখে শুলে আর অসুবিধে হয় না সে রকম। অন্তত সেকেন্ড ট্রাইমেস্টার পর্যন্ত এভাবে চালানো যায় অনায়াসে৷বস্তুত ৩-৪ মাস পর্যন্ত যেমনভাবে খুশি শোওয়া যায়৷ তারপর আসে কিছু বাধা-নিষেধ।

৩-৪ মাস পর্যন্ত যেভাবে ইচ্ছে ঘুমোন৷ কিন্তু যেই গর্ভাবস্থার মধ্য পর্যায়ে পৌঁছাবেন, বারণ হয়ে যাবে চিৎ হয়ে শোওয়া।কারণ, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এভাবে শুলে বর্ধিত জরায়ুর চাপ গিয়ে পড়ে সেই সব রক্তবাহী নালীর ওপর যারা মেরুদন্ডের পাশ দিয়ে বয়ে যায়, পায়ের রক্ত নিয়ে পৌঁছে দেয় হার্টে। সেখানে চাপ পড়া মানে রক্ত সংবাহনে ব্যাঘাত। তার হাত ধরে মাথা ঝিমঝিম, শ্বাসকষ্ট ও হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কাজেই চিকিৎসকদের মত হল, যেভাবে শুলে ভাবী সন্তান ও মায়ের লাভ, সেভাবেই শোওয়ার চেষ্টা করুন বেশিরভাগ সময়।

যেভাবে শোওয়া সবচেয়ে ভালো
গর্ভাবস্থার মধ্য পর্যায় থেকে এক পাশ ফিরে শুতে বলেন চিকিৎসকেরা। তাতে রক্ত সংবাহনে ব্যাঘাত হয় না। শরীরের আভ্যন্তরীন কোনো প্রত্যঙ্গের ওপর চাপ পড়ে না। ফলে সারা শরীরে, বিশেষ করে জরায়ুতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। অঢেল অক্সিজেন ও পুষ্টির যোগান পায় সন্তান, তার বৃদ্ধি ভাল হয়। উপকার হয় মায়েরও। হাত-পা বা শরীরে ফোলাভাব কম হয়। পাইলসের সমস্যা কম থাকে।পায়ে ভেরিকোজ ভেইন হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

​কিন্তু ঘুম হবে তো?

>>খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিন। শোওয়ার আগে খুব পেটভরে খাবেন না৷ হালকা খাবার কম করে খান, যাতে অম্বল বা পেটভার না হয়৷ খাওয়ার দেড় দু-ঘণ্টা বাদে শুতে যান। ঘুম ভালো হওয়ার এ হল এক প্রধান শর্ত।

>>সারাদিন ভালো করে জল খেলেও সন্ধের পর থেকে কম করেোন, যাতে বার বার বাথরুমে যেতে যেতে ঘুমে ব্যাঘাত না হয়।

>>ঘুমের আগে রিল্যাক্সেশন জরুরি। যার যেভাবে হয়।  টিভি দেখে, বই পড়ে, গান শুনে, গল্প বা মেডিটেশন করে। 

>> শোওয়ার আগে গোসল করতে পারেন। 

>>বিছানায় শুয়ে মোবাইল ঘাঁটবেন না। কারণ ঘুমের সমস্যা থাকলে মোবাইলের নীল আলো থেকে তা আরো বেড়ে যায়। নরম কয়েকটা বালিশের সাহায্যও নিতে পারেন। পিঠ-কোমরের কাছে একটি, পেটের নিচে একটি নিয়ে পাশবালিশ জড়িয়ে শুলে যদি ঘুম আসে, তাও করে দেখতে পারেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here