• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের নিজস্ব উপলব্ধি আছে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার নিয়ে ভারতের নিজস্ব উপলব্ধি আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, সাংবাদিক ও রাজনীতিক এম জে আকবর। গত সোমবার কলকাতায় এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার রাজনীতি’ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। তিনি জানান, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় ভারত তার ভূমিকা পালন করবে। 

‘ইন্ডিয়া ন্যারেটিভ’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে আলোচনার বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত্’। এম জে আকবর অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের বলেন, ‘বিশ্বের দিকে তাকান। কিভাবে বিশ্ব বদলে গেছে, তা দেখুন।’ 

অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের একজন এম জে আকবরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার রাজনীতির শিকার হচ্ছে। এর জবাবে আকবর বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিষয়ে ভারতে আমাদের নিজস্ব উপলব্ধি আছে। আমরা মনে করি, তাঁর বাবা যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনিও বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন।’

আকবর আরো বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের বিপ্লব ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীনতা দিয়েছে। আর শেখ হাসিনার দ্বিতীয় বিপ্লব বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রকে পরাজিত করে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ শুধু স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল না। সেটি একটি আদর্শিক যুদ্ধও ছিল।

এম জে আকবর বলেন, ফরাসি বিপ্লবের সময় থেকে জনগণ স্বাধীনতা, সাম্য আর ভ্রাতৃত্বের কথা শুনেছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ হলো গণতন্ত্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও দারিদ্র্য বিমোচনে আধুনিকতা যোগ করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন আধুনিক রাষ্ট্র হওয়ার পথে আছে।

বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থানের কোনো প্রশ্নই নেই বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন এম জে আকবর। এই ধারণার পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সামরিক একনায়কতন্ত্র ফেরানোর চেষ্টা করা হলে, তাদের জাতিসংঘের নানান নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হবে। সে কারণেই এ ধরনের একনায়কতন্ত্র ফেরার আশঙ্কা নেই।

অনুষ্ঠানে অপর আলোচক বাংলাদেশি কলামিস্ট সৈয়দ বদরুল আহসান বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের উত্তেজনার বিষয়টি তুলে ধরেন। ভারত এ ক্ষেত্রে কী ভূমিকা পালন করতে পারে, তা জানতে চান। জবাবে আকবর বলেন, ‘ভারত সরকার কী করবে তা নিয়ে হয়তো এভাবে প্রকাশ্য ফোরামে জানা যাবে না। তবে আমরা যা যা করার করব।’ 

তিনি উদাহরণ দেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন তার নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ জাহাজে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জাম বাংলাদেশে আসতে আপত্তি জানিয়েছে, তখন ভারত ওই জাহাজ পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে ভিড়তে দিয়েছে। 

অনুষ্ঠানে বদরুল আহসানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে মূল ইস্যু কী হতে পারে? জবাবে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতি দমনে সাফল্য-ব্যর্থতা বড় ইস্যু হতে পারে। এ সময় তিনি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ওপরও জোর দেন।

বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণে অনীহার বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছিল অনুষ্ঠানে। জবাবে বদরুল আহসান বলেন, ‘বাংলাদেশে উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে আইনের শাসন সমুন্নত করতে হবে।’

Place your advertisement here
Place your advertisement here