• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

দেশের পুঁজিবাজারের প্রতি উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়ছে 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

দেশের পুঁজিবাজারের প্রতি উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়ছে। পুঁজিবাজারের পরিবেশকে এখন অনেকেই অনুকূল মনে করছেন। তাই অনেক বড় বড় ও লাভজনক কোম্পানি বাজারে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী দুই বছরের এদের মধ্য থেকে বেশ কিছু কোম্পানি বাজারে আসবে।

গতকাল মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরামের (সিএমেএফ) নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাতকালে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এ কথা বলেন।

সংগঠনটির নতুন সভাপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে তাঁর সাথে সাক্ষাত করেন। এ সময় বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামস্দুনি আহমেদ, মো. আব্দুল হালিম, সিএমজেএফের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আবু আলী, সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান ইমাম রুবেল, সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, বহুজাতিক কোম্পানি ও বড় বড় শিল্প গ্রুপকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার ব্যাপারে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। কিছুদিনের মধ্যে অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে। তিনি বলেন, চাইলে জোর করে বা ডিরেক্টিভ দিয়ে এসব কোম্পানিকে বাজারে নিয়ে আসা যায়। কিন্তু তারা তা করতে চান না। কারণ বাধ্য করার ফল অনেক সময় ভাল না-ও হতে পারে। তাই তারা কোম্পানিগুলোর জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর এই পরিবেশ যখন আকর্ষণীয় মনে হবে তখন কোম্পানিগুলোকে আনার জন্য কোনো ডিরেক্টিভের প্রয়োজন হবে না। তিনি আরো বলেন, বর্তমান কমিশন আইনের সংস্কার ও বাজারের উন্নয়নে যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলোর সুফল আসতে শুরু করেছে। যে কোনো উদ্যোগের ফল পেতে একটু সময় লাগে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে বিএসইসির উদ্যোগে যেসব রোড শো হয়েছে, সেগুলোরও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো কোম্পানি ও ফান্ড সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করেছে।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে, দেশের অনেক বড় বড় কোম্পানি আন্তর্জাতিক পত্রিকা ফোর্বসের তালিকায় নাম তোলার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে তার ভ্যালুয়েশনের মাধ্যমেই কেবল এটি সম্ভব। তিনি সিএমজেএফের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান, গ্লোবাল এক্সপার্ট এনে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সিএমজেএফের সদস্যদের রিপোর্টিংয়ের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করার।
বিএসইসির কমিশনার প্রফেসর ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারের রিপোর্টাররা অনেক পরিণত। তাদের রিপোর্টের মান অনেক ভাল। আরও ভাল করার জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে। সিএমজেএফের সদস্যদের চাহিদা জানালে তারা সে অনুসারে প্রশিক্ষণ আয়োজনের ব্যবস্থা নেবেন।

অনুষ্ঠানে সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, সরকার ও বিএসইসির নানা উদ্যোগে সেকেন্ডারি মার্কেটে আস্থা ফিরেছে। বাজার যথেষ্ট গতি পেয়েছে। এখন প্রাইমারি মার্কেটে গতি সঞ্চারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কারণ এই বাজার গতিশীল হলেই কেবল অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের অবদান বাড়বে। তিনি দেশের পুঁজিবাজারে বড় বড় শিল্প গ্রুপের কোনো উপস্থিতি না থাকা এবং বেশিরভাগ বহুজাতিক কোম্পানির পুঁজিবাজারের বাইরে থাকার বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই বিষয়ে কমিশনের কোনো উদ্যোগ আছে কি-না জানতে চান।

Place your advertisement here
Place your advertisement here