• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

জীবাণুনাশক স্প্রে আবিস্কার করে আলোচনায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণী 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক তরুণ ব্রিটিশ বিজ্ঞানী একটি জীবাণুনাশক উদ্ভাবন করেছেন। কভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটিকে যুগান্তকারী উদ্ভাবন হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

ম্যানচেস্টার ইভনিংনিউজ জানায়, ১৪ মাসের গবেষণা শেষে সাদিয়া খানম (২৬) 'ভল্টিক' নামের একটি স্প্রে উদ্ভাবন করেন, যা সব ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস ও অন্যান্য অণুজীব শতভাগ ধ্বংস করতে সক্ষম। একবার স্প্রে করার পর ১৪ দিন এর কার্যকারিতা থাকে।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা (এনএইচএস) ও যুক্তরাষ্ট্রের নাসাসহ বেশ কিছু খ্যাতনামা সংস্থা ভল্টিকের পরীক্ষা করে এর সফলতা পেয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারি সংস্থা ও বেসরকারি কোম্পানি এটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলো বলছে, বিভিন্ন স্থাপনায় ভল্টিক স্প্রে করলে করোনাভাইরাসের জীবাণু ১০০ শতাংশই নির্মূল হয়। এতে হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন করার খরচও ৭০ শতাংশ সাশ্রয় হয়। বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে সাদিয়া ইতোমধ্যে এক কোটি পাউন্ড বা ১১৬ কোটি টাকার ক্রয়াদেশ পেয়েছেন। এই স্প্রেটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিমান, পরমাণু কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে প্রয়োগ করা যায়।

সাদিয়া খানম বলেন, ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি তার প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। তার দাদা আলজেইমারে মারা গেলে রোগ প্রতিরোধ করার ব্যাপারে তার আগ্রহ চরমে পৌঁছায়। তিনি করোনাভাইরাস ও জীবাণুনাশক নিয়ে ব্যাপক অধ্যয়ন ও গবেষণা করেছেন। কয়েক মাসের গবেষণা শেষে তিনি ভল্টিক উদ্ভাবনে সক্ষম হন।

সাদিয়া যুক্তরাজ্যে মাদ্রাসায় পড়াশোনা শুরু করলেও শেষে জেনেটিপ নিয়ে চেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। আলজেইমার বিষয়ে তিনি পিএইচডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তার বাবা কবির আহমেদ হোটেল ব্যবসায়ী। তার বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথে। ১৯৬৪ সালে কবিরের বাবা যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। কবির বলেন, 'এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে, আমার মেয়ের আবিস্কারের মাধ্যমে সারা বিশ্বকে আমরা সাহায্য করতে পারছি।'

Place your advertisement here
Place your advertisement here