• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

তুঘলক স্থাপত্য ‘ছাদগম্বুজ’ থেকে ‘ষাটগম্বুজ’

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ স্থাপত্যশৈলী বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম পুরার্কীতির একটি। লাল পোড়া ইটের ওপর নয়নাভিরাম কারুকার্য খচিত বহুগম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটির ইটের দেয়ালে ভেতর এবং বাইরের অংশে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন টেরাকোটা।

তুঘলক স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যে বাংলাদেশে যে কয়টি মসজিদ রয়েছে তার মধ্যে ষাটগম্বুজ মসজিদ অন্যতম। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে চমৎকার মসজিদ স্থাপত্য নিদর্শন এই ষাটগম্বুজ মসজিদ। জনশ্রুতি রয়েছে মসজিদ নির্মাণের সময় চুন-সুড়কির সঙ্গে মধু ব্যবহার করা হয়েছে।

১৬৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০৮ ফুট প্রস্থের মসজিদের দেয়ালগুলো আট ফুট করে পুরু। এতে গোলাকার গম্বুজ রয়েছে ৭০টি, চারচালা বিশিষ্ট গম্বুজ রয়েছে সাতটি এবং কর্ণার বুরুজ রয়েছে চারটি। সব মিলে মোট ৮১টি গম্বুজ রয়েছে ষাটগম্বুজ মসজিদে।

ষাটগম্বুজ মসজিদের ইমাম মো. হেলাল উদ্দিন জানান, মসজিদে সাধারণত মেহেরাব থাকে একটি। কিন্তু এই মসজিদে মেহেরাবের সংখ্যা ১০টি। প্রধান মেহেরাবটি পাথরের। সেই স্থানটিকে বলা হয় কোট অব খানজাহান। সেখানে খানজাহান দরবার বসাতেন। দরবারের পর শিক্ষা-দীক্ষা এবং তালিম করতেন খানজাহান।

 

1.তুঘলক স্থাপত্য ‘ছাদগম্বুজ’ থেকে ‘ষাটগম্বুজ’

পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মিত ষাটগম্বুজ মসজিদের নামকরণ নিয়ে মূলত তিনটি জনশ্রুতি রয়েছে- ছাদগম্বুজ থেকে ষাটগম্বুজ, ষাটখাম্বুজ (৬০টি পিলার) থেকে ষাটগম্বুজ এবং কারো কারো মতে ফারসি শব্দ সোয়াস্তু খাম্বুজ থেকে ষাটগম্বুজ মসজিদ। তবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মনে করে, অর্ধ ডিম্বাকার এবং আয়তাকার গম্বুজগুলোই ছাদ। এজন্য এই মসজিদকে 'ছাদগম্বুজ' মসজিদ বলা হতো।

এছাড়া প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর তাদের কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে নিয়মিত সংরক্ষণ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকো ষাটগম্বুজ মসজিদসহ খানজাহানের স্থাপত্যগুলো তালিকাভুক্ত করে।

১৪৫৯ সালের পূর্বে কোনো এক সময় ঐতিহাসিক এই মসজিদ নির্মাণ করেছেন বলে শিলাতে লিপিবদ্ধ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এছাড়া খানজাহান সম্পর্কে যা শুনা যায় সবই জনশ্রুতি।

ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকতারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, জনশ্রুতি আছে হয়রত পীর খানজাহান (রহ:) প্রথমে তুঘলক সেনাবাহিনীর সেনাপতি হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। তার কিছু কাল পরে তিনি প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ভারতের জৈনপুরে গভর্নর হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি এই অঞ্চলে আসেন।

স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, বাগেরহাট ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। একসঙ্গে প্রায় তিন হাজার মুসল্লি এখানে নামাজ আদায় করতে পারেন। নারীদের নামাজের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে ষাটগম্বুজে।

 

Place your advertisement here
Place your advertisement here