• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

`উচ্চফলনশীল জাতের ডালের উদ্ভাবন ও ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন`

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

দেশে ক্রমাগতভাবে আবাদী জমির পরিমাণ হ্রাস এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টিনিরাপত্তার জন্য উচ্চফলনশীল জাতের ডাল ফসল উদ্ভাবন, এদের সম্প্রসারণ ও ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন।

বর্তমানে দেশে ডালের চাহিদা প্রায় ২৬ লাখ টন, সেখানে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১০ লাখ টন। বাকি চাহিদা পূরণে প্রতি বছর বিদেশ থেকে প্রায় ১৩-১৪ লাখ টন বিভিন্ন ডাল আমদানি হচ্ছে। এতে প্রায় ৬-৭ হাজার কোটি টাকার ব্যয় হয়।

বিশ্ব ডাল দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডাল গবেষণা কেন্দ্র এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে সভাপতি ছিলেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

এ সময় বক্তারা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন গড়ে ৪৫ গ্রাম ডাল খাওয়ার উচিত। সেখানে আমাদের দেশের মানুষ মাথাপিছ মাত্র ১৭ গ্রাম ডাল খেয়ে থাকে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ডাল বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় অনেক আধুনিক উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন শস্যের সাথে প্রতিযোগিতায় ডাল ফসলের উৎপাদন এলাকা কিছুটা কমে গেলেও আধুনিক উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবিত হওয়ায় হেক্টর প্রতি ফলন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

কিন্তু ধান ভিত্তিক আমাদের এই শস্য বিন্যাসে ডাল ফসলের আবাদ সম্প্রসারিত করার সুযোগ সীমিত, তবে বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চল, চরাঞ্চল, পাহাড়ী অঞ্চল, উপকূলীয় অঞ্চল, রেল সড়ক ও রাস্তার ধারে এবং বসত বাড়ীতে উপযুক্ততা বিবেচনায় ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here