• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রতিবছরের মতো এবারো ২১ ফেব্রুয়ারিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে উদযাপনের লক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সংস্কৃতি বিষযক মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসানের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে দিবসের কর্মসূচি বিষয়ক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

কর্মসূচিতে রয়েছে, ২১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোয় সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। ভাষা শহিদদের স্মরণে দেশের সব শহিদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে।

রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানসহ সবাই পূর্বের ঐতিহ্য বজায় রেখে যেন শহিদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন, সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কর্মসূচিকে সফল করতে বাংলাদেশ মিশনগুলো শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন বিষয়ক আলোচনা সভা, পুস্তক ও চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। যেখানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং বাঙালি অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

এছাড়া দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যেসব উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে তাদেরকেও একুশের অনুষ্ঠানমালায় সম্পৃক্ত করা হবে। রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কোরআনখানির আয়োজনসহ দেশের সব উপাসনালয়ে ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

অন্যদিকে, সংস্কৃতি  মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় কর্মসূচি প্রণয়ন ও চূড়ান্ত করবে। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা এবং দিবসটি পালনে নিয়োজিত সব প্রতিষ্ঠান ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কদ্বীপগুলো ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাজনক স্থানগুলো বাংলাসহ অন্যান্য ভাষার বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হবে। একুশের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার এবং ভাষা শহিদদের সঠিক নাম উচ্চারণ, শহীদ দিবসের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা, শহীদ মিনারের মর্যাদা সমুন্নত রাখা, সুশৃঙ্খলভাবে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, ইত্যাদি জনসচেতনতামূলক বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমগুলো প্রয়োজনীয় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সংবাদপত্রগুলোয় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের বিষয়টি বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হবে।

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ সংলগ্ন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপন করা হবে। শহিদ মিনার সংলগ্ন এলাকার আশপাশে ধুলোবালি রোধকল্পে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হবে এবং রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে শহিদ মিনার এলাকায় চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে প্রস্তুত রাখা হবে। শহিদ মিনার এলাকার আশপাশে ঢাকা ওয়াসা বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করবে।

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অর্পিত পুষ্পস্তবক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় একুশে ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত সাজিয়ে রাখার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গণযোগাযোগ অধিদফতর ঢাকা মহানগরীতে ট্রাকের মাধ্যমে রাজপথে ভ্রাম্যমাণ সংগীতানুষ্ঠান এবং নৌযানের সাহায্যে ঢাকা শহর সংলগ্ন নৌপথে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজনসহ জেলা-উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করবে। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর তিন ধরনের পোস্টার ছাপাবে, যার মধ্যে প্রথমটি হবে সর্বজনীন, দ্বিতীয়টি স্কুল-কলেজের শিশু-কিশোরদের জন্য এবং তৃতীয়টি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো ও বাংলাদেশে অবস্থিত বৈদেশিক দূতাবাসগুলো প্রচারের জন্য।

বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর, গণগ্রন্থাগার অধিদফতর, আরকাইভস্ ও গ্রন্থাগার অধিদফতর, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, যুব উন্নয়ন অধিদফতর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক একাডেমি, বিরিশিরি, নেত্রকোণা, রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বইমেলা, আলোচনাসভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন,প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, সুন্দর হাতের লেখা ও রচনা  প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দফতর-সংস্থাগুলো জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করে দিবসটি উদযাপন করবে। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও অধীনস্থ শাখা জাদুঘরগুলো, শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের সব প্রত্নস্থল ও জাদুঘরগুলোয় শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিনা টিকেটে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here