• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আবারো নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে দেশবাসীকে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

রোববার বিকেলে নগরীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জনসমুদ্রে পরিণত হওয়া মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে এ আহ্বান জানান তিনি। 

সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (আরসিসি) সাতটিসহ মোট ২৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

গত জাতীয় নির্বাচনে ও মেয়র নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা রাজশাহীর জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও নৌকায় ভোট প্রত্যাশা করেন।

তিনি বলেন, আগামীতে নির্বাচন আসবে, এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে সেখানে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন কি না ওয়াদা চাই।

সমবেত জনতা এ সময় দুই হাত তুলে সমস্বরে ওয়াদা করলে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ যেন গড়তে পারি, সে জন্যই আপনারা সবাই নৌকায় ভোট দেবেন।

‘৮১ সালে তার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয় উল্লেখ করে জাতির পিতার কন্যা বলেন, আমি এমন একটি দেশে ফিরে আসি, যেখানে আমার কোনো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। জাতির পিতার খুনিদেরকে ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। সে অবস্থায় আমি দেশে ফিরে আসি শুধু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য। ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তারপর চেষ্টা করেছি, বাংলাদেশকে উন্নত করতে। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কেউ এদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দেয়নি, চিন্তাও করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসেই বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে। 

শেখ হাসিনা বলেন, এই রাজশাহীতে জাতির পিতা স্বাধীনতার পর কলকারখানা করেন। এরপর সব বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ বন্ধ কারখানা চালু করতে কাজ করে। পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ বাঁধ করে দিয়ে সেই ভাঙন আমরা রোধ করে দেই। রাজশাহীর মানুষের কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা নেই, তাদের জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজশাহী সবসময় অবহেলায় ছিল। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন। আমরা উন্নয়ন করেছি। রাজশাহীতে ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার উন্নয়ন করা হয়েছে এবং ৪ হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। আজ যে কাজগুলো উদ্বোধন করা হল এগুলো রাজশাহীবাসীকে আমার উপহার। 

এ সময় তিনি রাজশাহীতে বেসরকারি উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানের হোটেল গড়ে তোলায় এগিয়ে আসার জন্য শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সেক্ষেত্রে এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ভেন্যু হিসেবেও বিকশিত হতে পারবে।

বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, নৌকায় ভোট দেওয়ায় অপরাধে ফাহিমা-মহিমা-রজুফাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এই নৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই এদেশ স্বাধীন হয়েছে। নৌকায় ভোট না দিলে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতে পারতো না। নৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই জিয়াউর রহমান মেজর জেনারেল হতে পেরেছিল। অথচ সেই নৌকার প্রতি এতো ক্ষোভ কেন?

দেশের মানুষ ভালো থাকুক এটা বিএনপি সহ্য করতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলেই দেশে লুটপাট আর দুর্নীতি শুরু হয়। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষ শান্তিতে থাকে, ভালো থাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। আর বিএনপি কী করে? মানুষ খুন করা, অগ্নিসন্ত্রাস করা তাদের কাজ।

তিনি ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে আন্দোলনের নামে বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা এবং বাংলা ভাইসহ সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ সৃষ্টির প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন।

আওয়ামী লীগ জনগণকে দিতে আসে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা থেকে শুরু করে কমিউনিটি ক্লিনিক সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছি। ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি, দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স ডিগ্রির মর্যাদা দিয়েছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ পায়। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। দেশকে আমরা উন্নত করতে চাই।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান ও অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও মাহবুবউল আলম হানিফ, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল এবং সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here