• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

‘মধুমতি-শীতলক্ষ্যা সেতু আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে’

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

নড়াইলে দেশের প্রথম ছয় লেনের মধুমতি সেতু এবং নারায়ণগঞ্জে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার দুপুর ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতু দুইটি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মধুমতি ও শীতলক্ষ্যা সেতু দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে।

তিনি বলেন, 'আমরা এখন এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাব, যার ফলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। ঢাকা থেকে এখন মোংলা বন্দরই সবচেয়ে কাছে হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে বেনাপোল, ভোমড়াসহ কুষ্টিয়া ও ওই অঞ্চলের যোগাযোগ বাড়বে মধুমতি সেতুর মাধ্যমে। মানুষের সময় যেমন বাঁচবে, তেমনি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বাড়বে।'

সোমবার রাত ১২টা থেকে যান চলাচলের জন্য মধুমতি সেতু খুলে দেওয়া হবে। এটি নড়াইল, গোপালগঞ্জ, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর এবং ঝিনাইদহ জেলাকে সংযুক্ত করেছে।

মধুমতি সেতু সড়কপথে পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকার দূরত্ব অন্তত একশ কিলেমিটার কমাবে।

সেতু দুইটি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মধুমতি ও শীতলক্ষ্যা সেতু দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়ায় অবহেলিত এলাকার উন্নয়ন হবে বলেও আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।

সেতু দুইটিতে অর্থায়ন করার জন্য জাপান ও সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৯০ মিটার দীর্ঘ মধুমতি সেতু নির্মিত হয়েছে। যা স্থানীয়ভাবে কালনা সেতু নামে পরিচিত।

২৭ দশমিক ১ মিটার চওড়া সেতুটিতে চারটি উচ্চ গতির লেন ৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড এবং দুইটি সার্ভিস লেনসহ ছয়টি লেন রয়েছে।

আর তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু, যা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নাসিম ওসমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে, এটি নারায়ণগঞ্জ শহরকে বন্দর উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'আজ নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকার সঙ্গে যে যোগাযোগ তৈরি হয়েছে, নেটওয়ার্ক এমনভাবে গড়ে উঠেছে, যার ফলে এখন ঢাকা শহর দিয়ে যেতে হবে না। পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে এসে ঢাকা-সিলেট বা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে এই সেতু পার হয়েই সরাসরি চলে যেতে পারবে। এতে ঢাকার ভেতরের যানজটও কমবে।'

১ দশমিক ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে চট্টগ্রামগামী যানবাহন এবং একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহনের যানজট এড়াতে এবং সময় বাঁচাতে নারায়ণগঞ্জ শহরকে বাইপাস করতে সক্ষম করবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here