• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

জেলায় জেলায় ফল বেঁচে সংসার চলে তাদের

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

মহাসড়কের ধারঘেঁষে বেশ কয়েকটি বাহারী ফলের দোকান। মাটির উপরে পলিথিন বিছিয়ে সাজিয়ে রাখা আছে রং-বেরং এর সুস্বাদু ফল। এক কথায় ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকান। এসব ফলের দোকান বসে শুধুমাত্র সপ্তাহের হাটবারে। বিভিন্ন জেলায় ফল বেঁচেই সংসার চলে এসব ফল বিক্রেতাদের।

উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর গরুর হাট বসে রানীগঞ্জ বাজারে। এটি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় অবস্থিত। প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার এখানে হাট লাগে। এই হাট বারে রাস্তার ধারে ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকান নিয়ে বসে কয়েকজন ফল বিক্রেতা। তারা সবাই পাশ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার বাসিন্দা।

ফল বিক্রেতারা জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ফলের দোকান দেয় তারা। হাটবার অনুযায়ী বসে তাদের দোকান। লক্ষ্য হাটে আসা ব্যক্তিদের কাছে ফল বিক্রি করা। এভাবেই ফল বেচে সুখে সংসার চলছে তাদের।সোমবার হাট বসেছিল ছিল রানীগঞ্জ বাজারে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ধারঘেঁষে ৭টি ফলের দোকান বসেছে। মাটির উপর পলিথিন বিছিয়ে সাজানো আছে ড্রাগন, মাল্টা, আপেল, কমলা, পেয়ারা ও আনার। হাটে আসা ব্যক্তিরা দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জাতের এসব ফল কিনতে ভিড় জমিয়ে আছেন। সপ্তাহে দু‍‍`দিন এই স্থানে তারা দোকান লাগায়।

এসব দোকানে ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪শ টাকা কেজিতে। মাল্টা ৮০ টাকা, আপেল ১৬০ টাকা, কমলা জাতভেদে ৮০/১৬০/২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পেয়ারা ৫০ টাকা এবং আনার ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

দেশীজাতের এসব কমলা তারা কিনে আনে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। ড্রাগন ফল তারা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। হাটবারে বাজার থেকে শাক-সবজি কিনে বাড়ি ফিরছিলেন রহিম মোল্লা। তার বয়স ৬৭। ফলের দোকানে ৫০০ গ্রাম ড্রাগন ফল কিনতে দেখা যায় তাকে। কথা হয় তার সাথে। 

তিনি বলেন, ‘এই ফল আমরা দেখিনি। নতুন নাকি বের হয়েছে। তাই নাতির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছি। গত সপ্তাহে এই দোকান থেকে মাল্টা কিনে নিয়ে গেছি। বেশ সুস্বাদু ছিল।’

পাশের আরেকটি দোকানে আনার ফল কিনছিলেন হাবিবুর রহমান নামের এক যুবক। সে বলেন, ‘আনার ফল শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করে। আমার মা অসুস্থ। তাই মায়ের জন্য ২ কেজি আনার নিয়ে যাচ্ছি। স্থানীয় দোকানের চেয়ে এখানে কিছুটা কম দামে ফল কিনতে পাওয়া যায়। মানও বেশ ভালো।’

কথা হয় ফলের দোকানদার ইসাহাক মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, ‘এক যুগ থেকে হারা এল্লা ফলের দোকান করে সংসার চালাওছি। একেকদিন একেক জেলাত যাই। হাটের দিন করে হামরা দোকান দেই। ফল বেঁচে হামার প্রতিদিন আয় ১ হাজার থেকে ১৫শ  টেকা। হামরা নিজেরাই পাইকারী মাল কিনি। তাই ক্রেতাহেরে কাছে ৫-১০ টাকা কম দামে ফল বেচবার পাই।’

Place your advertisement here
Place your advertisement here