• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

১৩ আগস্ট খুনি জিয়া হত্যাকাণ্ডের রেকি করতে এসেছিল: তাপস

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

আমার বাবা শেখ ফজলুল হক মনির সাথে সাক্ষাতের ছলে ১৯৭৫ সালের ১৩ আগস্ট খুনি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের রেকি করতে এসেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তাপস বলেন, '১৯৭৫ সালের ১৩ আগস্ট খুনি জিয়াউর রহমান আমাদের বাসায় এসেছিলেন। সেদিন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে তিনি বাবার সাথে দেখা করে গেছেন।

সেদিন জিয়াউর রহমানের আমাদের বাসায় আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো তথ্য আছে কিনা তা জানা। আমরা কোনো কিছু জানি নাকি? বাসার পরিস্থিতি কি, আশপাশের অবস্থা কি? এসব রেকি করার জন্যই সেদিন খুনি জিয়া নিজেই সশরীরে আমাদের বাসায় এসেছিলেন। '

নেপথ্য থেকে শুধু হত্যাকাণ্ড ঘটানোয় নয়, খুনিদের রক্ষা করাও জিয়াউর রহমানের মূল ভূমিকা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'জিয়াউর রহমানের মূল কার্যক্রমই ছিল নেপথ্য থেকে এই হত্যাকাণ্ড সামাল দেওয়া। সেই খুনিদের বাঁচানো এবং তাদের মূল উদ্দেশ্য যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করা। সেটাই তিনি সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছেন। '

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড পরবর্তী কর্মকাণ্ড ও তৎপরতা জিয়াউর রহমানের অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত থাকাকে প্রমাণ করে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, 'যারা এই হত্যাকাণ্ডে বাধা দিতে চেয়েছিলেন, প্রতিঘাত করতে চেয়েছিলেন, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন: কর্নেল নুরুদ্দীন ও শাফায়াত জামিলকে আটক করে কর্নেল রশিদ সেদিন জিয়াউর রহমানের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। খুনের পরবর্তী ঘটনা আরো প্রমাণ করে জিয়াউর রহমান তাদের আস্থার জায়গা ছিলেন। সাধারণ মানুষের কিংবা সেনাবাহিনীর মধ্যকার যেকোনো ধরনের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করার যেকোনো প্রচেষ্টা সেদিন জিয়াউর রহমান সামাল দিয়েছিলেন। সুতরাং এসব তথ্য-উপাত্ত প্রমাণ করে যে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে খুনি জিয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। '

জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসেই খুনি কর্নেল রশিদকে 'গো এহেড' নির্দেশের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেন, সরকারের বিরুদ্ধে ক্যু করা এবং রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর খুনিরা আজও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই মুক্তিযুদ্ধরবিরোধী শক্তি জামায়াত-বিএনপির সকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে সবাইকে শপথ নিতে হবে। '

ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের বিচার করার যে বক্তব্য বিএনপি মহাসচিব রাখছেন তার জবাবে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'অপকর্মের জন্য আপনাদের নেতা তারেক জিয়ার বিচার হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধুর খুনি ও রাজাকারদের বিচার করেছেন। তেমনি আপনাদের সকল অন্যায়েরও বিচার হবে। '

আগামী নির্বাচনে আসবে না বলে বিএনপির হুঁশিয়ারির জবাবে তিনি বলেন, 'নির্বাচনে অংশ না নিয়ে হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও আর করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাহায্য করবে। '

অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট কালরাতে শাহাদাতবরণকারী সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদ উল্লাহ মিনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহম্মেদ মন্নাফী।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজী মো. শাহিদ, সাজেদা বেগম, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম, কার্য নির্বাহী সদস্য ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুরসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অন্তর্গত বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here